News update
  • World Leaders Urged to Defend Human Rights and Justice     |     
  • Vegetable prices remain high, people buy in small quantities     |     
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     

চাপ উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল, স্বপ্নভঙ্গ ডর্টমুন্ডের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2024-06-02, 6:23am

img_20240602_062401-0fe8e9c14e207e0cac917d7ac3ed28521717287860.jpg




চাপের মুখে সেরা খেলা নতুন কোনো ব্যাপার নয় রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। আর মঞ্চটা যদি হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের তাহলে তো কথাই নেই। তবুও আজকের রাতটা ছিল কিছুটা ভিন্ন রকমের। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের মাঠে বল গড়াতেই বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পড়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও পুরো প্রথমার্ধে নখদন্তহীন বাঘই মনে হচ্ছিল ইউরোপের সফলতম দলটিকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই জাত চেনালো স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দারুণ প্রত্যাবর্তনে স্বপ্ন ছিঁড়েখুঁড়ে রেখে দিলো ডর্টমুন্ডের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই ওয়েম্বলির দৃশ্যপটে একদিকে স্বপ্নভঙ্গের ধাক্কায় মার্কো রিউস, ম্যাট হামেলসদের কান্না, অন্যদিকে লস ব্লাঙ্কোসদের রেকর্ড ১৫তম শিরোপা জয়ের বুনো উল্লাস।

ম্যাচের প্রথমার্ধ পুরোটাই একরকম ছিল ডর্টমুন্ডময়। বলটাই শুধু নিজেদের দখলে রাখতে পারছিলেন ভিনিসিয়ুস, টনি ক্রুসরা। বিপরীতে মাত্র ৩৬ শতাংশ বল দখলে রেখেও রিয়াল শিবিরে ভয় ধরাচ্ছিলেন নিকোলাস ফুলক্রুগ, হুলিয়ান ব্রান্টরা।

প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ মিস করেন হলুদ-কালো শিবিরের হুলিয়ান ব্রান্ট। নিকোলাস ফুলক্রুগের ব্যাকপাস রিসিভ করেন ডিবক্সের প্রান্তে থেকে। ভেতরে গিয়েও ভারসাম্য হারান ব্রান্ট। দুর্বল শটটা পোস্টে রাখতে পারলে ওই সময়েই লিড পেয়ে যেতে পারত ডর্টমুন্ড।

২০ মিনিটের মাথায় আরও বড় সুযোগ মিস করে বসেন করিম আদেয়েমি। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াকে একা পেয়েও বল পোস্টে রাখতে পারেননি। মিনিট তিনেক পরেই ফুলক্রুগের পা ছোঁয়া শট ফিরে আসে গোলবার থেকে। ৪০ মিনিটে আবারও ডর্টমুন্ড কাঁপন ধরায় রিয়ালের রক্ষণে। মার্সেল সাবিটজারের মাটি কামড়ানো সেই দুরপাল্লার শট অবশ্য ফিরিয়ে দেন কর্তোয়া।

বিপরীতে প্রথমার্ধে ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক কোবেলকে তেমন কোনো পরীক্ষায়ই ফেলতে পারেনি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগোরা। তবুও তাদের কপাল ভালো, ডর্টমুন্ডকে খালি হাতে রেখেই ড্রেসিং রুমে ফেরে আনচেলত্তি শিষ্যরা।

ড্রেসিং রুমে নিজের শিষ্যদের কী মন্ত্র ফুঁকে দেন ডন কার্লো, কে জানে? তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই এ যেন অন্য রিয়াল মাদ্রিদ। বাঁশি বাজতেই নিজেদের চিরচেনা আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, বেলিংহাম, টনি ক্রুস, ভালভার্দেরা। আর তাতেই রক্ষণে ব্যস্ত হতে থাকে জার্মান জায়ান্টরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধৈর্য্য হয়ে উঠতে থাকেন ম্যাট হামেলস, স্লটারব্যাক, ম্যাটসনরা। শেষদিকে এসে এই ধৈর্য্য হারানোর খেসারতও দিতে হয় তাদেরকে।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান রিয়াল রাইটব্যাক ড্যানি কার্ভাহাল। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ৯ মিনিট বাদে ডর্টমুন্ডের জালে ফের বল জড়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান ফাঁকায় পেয়ে যান বল। বেলিংহামের অসাধারণ পাস থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুলই করেননি তিনি।

এরপর ডর্টমুন্ড ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি একটুও। মাঝে সান্ত্বনা ছিল কেবল ৮৭ মিনিটে ফুলক্রুগের অফসাইড গোল।

দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল কতোটা দাপুটে ছিল তা বোঝা যায় কেবল এই পরিসংখ্যানটুকু থেকে। শেষ ৪৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডের গোলের দিকে ১১ টি শট নেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা, যার ৬টিই ছিল সরাসরি গোলমুখে। বিপরীতে শেষার্ধে রিয়ালের গোলের দিকে শট হয় মাত্র ৫টি, যার মাত্র ১টি ছিল সরাসরি গোলমুখে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কখনও হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৮৩ সালে পর থেকে কোনো ইউরোপিয়ান ফাইনালে হারেনি তারা। ২০২৪ সালে এসেও তার ব্যতিক্রম হলো না। লন্ডনে আরও একবার প্রমাণিত হলো ইউরোপিয়ান ফুটবলের রাজা এখনও রিয়াল মাদ্রিদই; চাপ তাদের কাছে কিছুই না। দ্বিতীয়ার্ধের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ডর্টমুন্ডের স্বপ্ন গুড়িয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতলো লস ব্লাঙ্কোসরা। আরটিভি নিউজ।