News update
  • Beanibazar green cover shrinks, migratory birds disappear     |     
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     
  • Remittance inflow exceeds $632 million in first six days of Dec     |     
  • 18 migrants die as inflatable boat sinks south of Greek island of Crete     |     
  • TIB for polls manifesto vows to curb misuse of powers and religion     |     

জানুয়ারিতে বই বিতরণ নিয়ে এবারও শঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বইপত্র 2024-09-06, 3:13pm

02270e3d7bb2c6341f57db92f38fdcfe718d4116f939ad98-df4e149146cad2b2b3bf801cc7026de71725614006.jpg




নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র তিন মাস সময় বাকি থাকলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি। শুধু তাই নয়, কয়েকটি শ্রেণিতে হয়নি টেন্ডারও। এখনো বই ছাপা শুরু না হওয়ায় জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। মুদ্রণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শুরুতে কিছু বই পৌঁছানো সম্ভব হলেও সব বই ছাপা শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে।

প্রতি বছরের মতো ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৩৫ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপাবে সরকার। তবে বছর শেষ হতে তিন মাস বাকি থাকলেও এখনো চারটি শ্রেণিতে ছাপা কাজের প্রথম ধাপ, টেন্ডার প্রক্রিয়াই শুরু করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি।

ছয়টি শ্রেণির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত না হওয়ায় বই ছাপার কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

আগামী শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত কারিকুলামের বই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হলেও এসব বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে কন্টেন্টে নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে তা পরিমার্জন করা হবে। আর নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুরানো কারিকুলামের বই দেয়ার কথা বলা হলেও তাতেও আসবে নানা পরিবর্তন। আর মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ আবার চালু হওয়ায় বাড়ছে বইয়ের সংখ্যাও।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (পাঠ্যক্রম) অধ্যাপক সাইদুর রহমান বলছেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌছাতে সবোর্চ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। মুদ্রণ সংশ্লিষ্টরা সচেষ্ট হলে এই সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব।

তবে মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। জানুয়ারিতে কিছু বই পৌছানো সম্ভব হলেও নবম-দশম শ্রেণির বই পেতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে তাদের।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার অভিজ্ঞতা, দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন ও মেশিন ক্যাপাসিটির আলোকে বলছি নবম-দশম শ্রেণির যে বই তা কোনোক্রমেই মার্চের আগে দেয়া সম্ভব না। এছাড়া কারিকুলামের যে কারেকশন আছে তা যতো দ্রুত করতে পারবে তা আমাদের জন্য কল্যাণকর, এনসিটিবির জন্যও কল্যাণকর।

পুরো প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ করতে পরিমার্জনের পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার পরামর্শ মুদ্রণ শিল্প সমিতির। সময় সংবাদ।