News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

২০২৬ সালের মধ্যে ১শ’ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সরকারের: বাণিজ্যমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2022-09-17, 6:07pm




সরকার ২০২৬ সাল নাগাদ ১শ’ বিলিয়ন এবং ২০২৪ সাল নাগাদ ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণের চেষ্টা করছে। একইসাথে প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা আরও জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ওভারসিজ করসপনডেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত মিট দ্য টক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি বাড়ানোর মত সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর চীন থেকে যেসব শিল্প-কারখানা স্থানান্তর হচ্ছে। তার ৪/৫ শতাংশ কারখানা বাংলাদেশে আসলে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন নয়।’

ভারতে আগামী তিন বছরের মধ্যে রপ্তানি ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে  বলেন, বিগত অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। প্রতিবছর সেখানে অন্তত ৫শ’ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব। তিনি জানান, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট, কৃষিজাত পণ্যসহ আরও কিছু পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেটার প্রতি সরকার বিশেষ নজর দিচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেঁধে দিতে পারেন। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাকি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের। দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে সরকার কী ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যারিফ নিয়ে আলোচনার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারত অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যারিফ বসাতে পারে না। আন্তর্জাতিক আদালতে না গিয়ে আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় ৭টি বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। এর পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ হয়। 

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে, কিন্তু জাহাজ ভাড়া ও অন্যান্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেটার পুরোপুরি সুফল আমরা পাচ্ছি না।’

মিট দ্য টকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল ও সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম। তথ্য সূত্র বাসস।