News update
  • Six put on remand in metro rail station vandalizing case     |     
  • Ex-Ducsu VP Nur sent to jail in Setu Bhaban vandalising case     |     
  • Mali bus crash kills 16, injures 48     |     
  • UN chief calls for global action on extreme heat     |     

কোরবানির আগেই অস্থির মসলার বাজার!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2024-05-13, 2:23pm

ggdsgsg-6c2b2e537f05fe011d4f04dd02912d6d1715588639.jpg




টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নানা অজুহাতে কোরবানির আগেই অস্থির হয়ে ওঠেছে মসলার বাজার। গত এক সপ্তাহে জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। আর চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত আমদানি হওয়ায় এ মুহূর্তে বাজারে মসলার কোনো সংকট নেই বলে দাবি কাস্টমসের।

ভারত থেকে আমদানি কম হওয়ার অজুহাতে গত দুমাস ধরেই দেশের বাজারে এলাচের দাম লাগামহীন। দুহাজার টাকা কেজি এলাচের দাম এসে ঠেকেছে চার হাজার টাকায়। এবার শুধু এলাচ নয়, অজুহাতের ওপর ভর করে জিরা, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ এবং জয়ত্রির দাম ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।

বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে, ততোই অস্থির হয়ে উঠছে মসলার বাজার। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা ৬৫০ টাকা, এলাচ ৩৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৬০ টাকা, দারুচিনি ৩৭৫ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ টাকা এবং জয়ত্রি ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গ্রাফিক্স চিত্রে মসলার দাম

তবে চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জের মেসার্স ইউনিক এন্টারপ্রাইজের মালিক লিটন দাস বলেন, পাইকারি বাজারে কেজিতে ৫-১২ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে জিরা ও গোলমরিচের। এছাড়া দাম বেড়েছে এলাচেরও, যা প্রতিনিয়তই ৫০ টাকা উঠানামা করছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আজিম মুন্না বলেন, ডলার সংকট ও দামের তারতম্যের কারণে মসলা আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রতিটি মসলার দামই বেড়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৪ হাজার ২৬৭ মেট্রিক টন এলাচ, ৪১ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন জিরা, ৩২ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন লবঙ্গ এবং ২৯ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন গোল মরিচ আমদানি হয়েছে। এটি গত বছরের এ সময়ে আমদানির তুলনায় অনেক বেশি।

গ্রাফিক্স চিত্রে দেশে মসলা আমদানির পরিমাণ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া জানান, যত দ্রুত সম্ভব কাস্টমস থেকে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। যাতে করে বাজারে কোনো ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয়।

মূলত ভারত থেকে জিরা ও এলাচ, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে দেশে লবঙ্গ ও দারুচিনি আমদানি করা হয়। এতোদিন এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেখালেও এখন তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়ে যাওয়া।

গ্রাফিক্স চিত্রে বাংলাদেশে মসলা রফতানিকারক দেশের তালিকা

বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি অমর কান্তি দাশ বলেন, দেশের জিরা ও এলাচের বাজার ভারতের ওপর নির্ভরশীল। ভারতেই বর্তমানে এসব পণ্যের সংকট চলছে। তার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। 

আর চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, দেশে মসলার বাজার রফতানির ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি দেশে বেড়ে গেছে ডলারের দাম। তাই প্রভাব পড়েছে মসলার দামেও।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রতি ডলারের দাম ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ১১০ টাকা। সময় সংবাদ