News update
  • Export Earnings Grow by 9.83% in July–April     |     
  • Young woman dies as scarf wrapped with auto wheel at Aftabnagar     |     
  • Dams in Chenab Basin and Climate Change: Need to Exercise Caution     |     
  • Dr. Yunus for body to ensure fair price of animals, rawhides     |     

দেশের সুতাকলে বেড়েছে চাহিদা, দাম বাড়ানোর অভিযোগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-05-05, 1:43pm

rt56436435-fa25a54ee7452a46aacbee879376f2221746431033.jpg




ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের পর দেশের সুতাকলে চাহিদা বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ। তবে জ্বালানি সংকটে ভুগতে থাকা তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে কেজিতে ৪৫ সেন্ট পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কল মালিকরা। এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পোশাক খাতকে যেন জিম্মি করতে না পারে সুতাকলগুলো, সেদিকে যেমন নজর দিতে হবে; তেমনি রফতানি বাজারে টিকে থাকতে নিশ্চিত করতে হবে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ।

দেশের রফতানিমুখী পোশাক শিল্পে যে পরিমাণ সুতার প্রয়োজন হয় বছরব্যাপী, তার সিংহভাগেরই জোগান দিতে সক্ষম দেশীয় বস্ত্রকল। প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি কেজি উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে নিট পোশাক কারখানায় প্রায় শতভাগ আর ওভেনের অর্ধেক চাহিদা মেটাতে পারে দেশের ৫২৭টি বস্ত্রকল। ভারত থেকে সহজে ও সুলভে সুতা আমদানি বাড়তে থাকায় চাপে পড়ে দেশের ২২ বিলিয়ন ডলারের এই শিল্প।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) তথ্য, আমদানির কারণে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশীয় কারখানায় অবিক্রীত থেকে যায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সুতা। তবে গত ১৩ এপ্রিল স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর দেশের বাজারে ৫০-৬০ কাউন্টের সুতার চাহিদা বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ। যদিও বিদ্যুৎ সংকটে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বাড়ছে না ক্রয়াদেশ।

এদিকে, নিট পোশাক রফতানিকারকদের অভিযোগ, চাহিদা বাড়ায় মানভেদে প্রতিকেজি সুতার দাম ৪৫ সেন্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন সুতাকল মালিকরা। নিট পোশাক রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, জাহাজে করে সুতা আনলেও ২ ডলার ৯০ সেন্ট পড়ছে। তবে বাংলাদেশে সেটির জন্য গুনতে হচ্ছে ৩ ডলার ৩৫ সেন্ট থেকে ৩ ডলার ৫০ সেন্ট।

তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিটিএমএ। সংগঠনটির সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সুতা ব্যবহার করতে হয়। এই সুতার দাম আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।

এ পরিস্থিতিতে রফতানি আয় বাড়াতে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতার উৎপাদনে সরকারকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যে সব জায়গায় দেশের সক্ষমতা রয়েছে, সেখানে উদ্যোক্তারা সুতা লোকাল মার্কেট থেকেই নেন। তবে এখনও সব সুতা অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হয়নি। যার ফলে সুতা বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সুতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম যাতে ঊর্ধ্বমুখী না হয় সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

শুল্ক যুদ্ধের অস্থির বিশ্ববাজারে দেশের এক শিল্প যেন আরেক শিল্পের ওপর চাপ না বাড়ায় সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদও তাদের। পাশাপাশি স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের পর স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা এগিয়ে নিতে পোশাকখাত সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।