News update
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     
  • Russia 1st country to recognize Taliban rule in Afghanistan     |     
  • New report seeks reforms for free, pluralistic media in BD     |     

চাঁদের ধুলোর অদ্ভূত প্রকৃতিই ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফট ল্যান্ডের সময়ে আসল চ্যালেঞ্জ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2023-08-09, 6:45am

01000000-0aff-0242-84a1-08db984469c4_w408_r1_s-cde38aa302caf87627f149c2e4d00aa41691541927.jpg




চাঁদের ধুলোর অদ্ভূত প্রকৃতিই ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফট ল্যান্ডের সময়ে আসল চ্যালেঞ্জ। 

চাঁদের ধুলোর অদ্ভূত প্রকৃতিই ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফট ল্যান্ডের সময়ে আসল চ্যালেঞ্জ।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় সফট ল্যান্ড করবে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। এখন আপাতত চাঁদের প্রথম কক্ষপথেই পাক দিচ্ছে চন্দ্রযান। বুধবার ৯ অগাস্ট বেলার দিকে দ্বিতীয় কক্ষে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে তাকে। গতি কমিয়ে খুব সাবধানে চাঁদের পথে যেতে হবে চন্দ্রযানকে। পাঁচ পাকের প্রতিটাতেই রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর আসল পরীক্ষা হবে সেই অবতরণের দিন। কারণ উঁচু থেকে গতি কমিয়ে চাঁদের মাটিতে নেমে আসার প্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। ইসরো-র বিজ্ঞানীরা বলছেন, সময় ও গতি এই দুটোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া আরও একটা বড় সমস্যা আছে।

দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বিক্রম হারিয়ে গেছে। তবে অরবিটার এখনও সতেজ আছে। পৃথিবীর কক্ষে পাক খেতে খেতেই চাঁদে সতর্ক নজর রেখেছে সে। চন্দ্রযান-২ এর অরবিটার-ই খবর পাঠিয়েছে চাঁদের মাটিতে অবতরণের সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে চাঁদের ধুলো বা রেগোলিথ। তার হাই সেন্সর ক্যামেরা এবং লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার-এ ধরা দিয়েছে চাঁদের মাটিতে ঘটে চলা কিছু ঘটনা।

গত ২৯ দিনে চাঁদের দক্ষিণ পিঠের উপর পুরোপুরি একবার পাক খায় অরবিটার। পুরোটা পরিক্রমা করতে তার সময় লাগে মোট ৬ দিন। তার মধ্যেই দক্ষিণ মেরুর আনাচেকানাচে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নেয় সে। অরবিটারের ডেটা বলছে, চাঁদের মাটিতে প্রচুর খনিজ রয়েছে। তাদের মধ্যে চার্জড পার্টিকলের (প্রোটন-ইলেকট্রন) নিরন্তর বদলও লক্ষ্য করেছে সে।

অরবিটারের লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার দেখেছে, দক্ষিণ পিঠে চাঁদের ধুলো বা রেগোলিথ-এর (Regolith) মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। উত্তেজিত হয়ে উঠছে ইলেকট্রনরা। এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার-এর চোখে ধরা পড়েছে, এই ইলেট্রনরা এতটাই উত্তেজিত, যেন মনে হচ্ছে তারা নাচতে নাচতে ঘুরছে।

এই রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরবায়ু সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধূলিকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয়।

এই ধুলোর ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর (Magnetic Field) তৈরি করে। তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমকে যদি নিরাপদে চাঁদের মাটিতে নামতে হয়, তাহলে চাঁদের ধুলোর প্রকৃতির সঙ্গে যুঝতে হবে। রেগোলিথদের তাণ্ডব নাচন সামলে হাল্কা পালকের মতো সফট ল্যান্ড করতে হবে চাঁদের মাটিতে। সামান্য ভুল হলেই দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বিক্রমের মতো মুখ থুবড়ে পড়বে চাঁদের বুকে। আর তারপরেই চাঁদের ধুলোয় চিরতরে হারিয়ে যাবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।