News update
  • US Issues Travel Alert for Bangladesh Ahead of Election     |     
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     

বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট চায় স্টারলিংক, কী বলছে বিটিআরসি?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-09-29, 1:37pm

a0d320ad025ea78ac4a9ab5ab9835341b667e935476ac318-705122d024db874c688bb1c6b0c390751759131452.jpg




সিঙ্গাপুরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে চায় স্টারলিংক। এ লক্ষ্যে গাজীপুরে হাইটেক পার্কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাউন্ড স্টেশন বাসনোর পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠানটির। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দেয়া চিঠিতে, বাংলাদেশকে হাব করে অন্য দেশে ডাটা পরিবহনের অনুমোদন চেয়েছে তারা। যেখানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তবে, স্টারলিংকের আবেদনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

চলতি বছরের মে মাসে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা দেয়া শুরু করে স্টারলিংক। দ্রুত বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা। মানসম্মত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কে দুটি, রাজশাহী ও যশোরে একটি করে মোট চারটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করেছে স্টারলিংক। প্রতিষ্ঠানটি এখন বাংলাদেশের গেটওয়ে দিয়ে ভুটানসহ পার্শ্ববর্তী দেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে চায়। সম্প্রতি বিটিআরসিকে চিঠি দিয়ে অনুমোদন চেয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ভুটানের গ্রাহকদের সিঙ্গাপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে স্টারলিংক, যা ব্যয়বহুল আবার ল্যাটেন্সি অনেক বেশি।

চিঠিতে সামিট, ফাইবার অ্যাট হোম ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি থেকে আইপিএলসি এবং আনফিল্টারড আইপি ব্যন্ডউইথ কিনে বাংলাদেশের গেটওয়ে থেকে সিঙ্গাপুর ও ওমান পপে ডাটা পরিবহন করার অনুমতি চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশি গ্রাহকদের জন্য যে আন্তর্জাতিক লিংকটি যাবে, স্টারলিংক চায় সেখানে সরকার কোনো ফিল্টার বা ব্লক করবে না। তবে, বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সেবা স্থানীয় আইআইজি হয়ে যাবে এবং আইন অনুযায়ী সব ধরনের নিরাপত্তা, ফিল্টারিং ও কনটেন্ট ব্লকিং মানা হবে।

ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ ইনফরমেশন অফিসার সুমন আহমেদ সাবির বলেন,আমাদের পাশের দেশগুলোর স্টারলিংক গ্রহকদের জন্য সেবা পৌঁছাচ্ছে সিঙ্গাপুর, মঙ্গোলিয়া বা অন্য কোনো দেশ দিয়ে। ফলে এ ব্যবসাটা পাচ্ছে ওই দেশগুলো। স্টারলিংক আমাদেরকে ট্রানজিট ব্যবসার মধ্যে ঢুকার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। কাজেই পাশের দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা কী ব্যবহার করে না করে, সেটা বাংলাদেশ নজরদারি করতে চাইলে সেই ব্যবসা কখনো হবে না।  

বিটিআরসি বলছে, এনজিএসও গাইডলাইন পর্যালোচনা এবং দেশের স্বার্থ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, 

তারা একটি চিঠি দিয়েছে। টেকনিক্যাল ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের দেশের বিদ্যমান আইন এবং গাইডলাইন অনুযায়ী দেয়া সম্ভব হলে দেব, না হয় দেব না।

এক দেশের ট্রাফিক যখন অন্য কোনো দেশের মধ্য দিয়ে ভিন্ন কোনো দেশে যায়, তা সাধারণত মধ্যবর্তী দেশের ফিল্টারিংয়ের আওতায় থাকে না। বর্তমানে বাংলাদেশের সব ইন্টারনেট ট্রাফিক সিঙ্গাপুর কিংবা ভারতের মধ্য দিয়ে যায়, যা ওই সব দেশের ফিল্টারিংয়ের আওতার বাইরে রয়েছে।

আইপিএলসি দুটি দেশকে যুক্তকারী আন্তর্জাতিক ডাটা পরিবহন ব্যবস্থা আর আনফিল্টারড আইপি হচ্ছে ফিল্টারবিহীন আইপি ব্লক, যা ব্যবহার করে ডেটা ব্লকিং বা লোকাল নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া সরাসরি আন্তর্জাতিক লিংকে পাঠানো যায়।