News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

টানা ৭ দিন ধরে শহীদ মিনারে আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিদ্যুৎ 2025-05-27, 3:09pm

c6014146c5f8faefbde18b7fc6ce9f4d74fbfe90ca467020-850c853e1a255098471c2df831f1f2881748336945.jpg




টানা সপ্তম দিনের মতো মেঘ-বৃষ্টি ও রোদ উপেক্ষা করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৭ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাত দফা দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

প্রায় কয়েক হাজার কর্মী এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যোগ দিয়েছেন। দিচ্ছেন মুহুর্মুহু স্লোগানও। এদিকে যারা এলাকায় আছেন তারাও আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।  এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী ও অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

এ সময় তারা আরও বলেন, টানা সাত দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেলে কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই দাবি না মেনে নেয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এতে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন ছিল ওই সব এলাকার গ্রাহকরা। এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখে কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন। নিয়মিত সেবা না দিলেও জরুরি সেবা চালু রেখেছে তারা। তবে আজ থেকে জরুরি সেবাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

দেশে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। এখন সাত দফা দাবিতে ৭ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার কর্মীর স্লোগানে মুখর হয়ে আছে শহীদ মিনার।

সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরুরি সেবা চালু রেখে মঙ্গলবার থেকে সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন করা হবে। সমিতিতে অবস্থানরত মিটার রিডাররা মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৯টায় একযোগে রিডিং বই জমা দিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। জনদুর্ভোগ বা সেবা বিঘ্নিত করে কর্মসূচি পালন করতে চান না তারা। তাই দাবি মেনে নিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা বলছেন, অন্যথায় ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন। এতে জনদুর্ভোগ তৈরি হলে এর দায়ভার বিদ্যুৎ বিভাগসহ সরকারকে বহন করতে হবে।

গত বছরের শুরু থেকেই দুই দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে আসছিরেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের একজনের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে গত অক্টোবরে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন তারা। এর পর থেকেই কারও কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ বিভিন্ন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে আরইবি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ৪০ জন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। ছয় হাজারের বেশি কর্মীকে নিজ এলাকা থেকে দূরের এলাকায় বদলি করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যমান পল্লী বিদ্যুৎ কাঠামো পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন দেবে তারা। গত ২৭ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, এক ও অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন করে আরইবি ও সমিতি একীভূত করতে হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে আপত্তি জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ। ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলা হয়।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে চলমান মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে গত ২১ জানুয়ারি ও ২৬ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। এর সঙ্গে ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর জমা দেওয়া হয়। তাদের দাবির মধ্যে আছে, আরইবি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি ও পবিস একীভূত করে অন্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন। মিটার রিডার, লাইন শ্রমিক ও পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা। সময়।