News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

ট্রাম্পের শুল্কারোপ: বিশ্ব বাণিজ্যে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন

বিবিসির বিশ্লেষণ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিনিয়োগ 2025-04-04, 12:29pm

img_20250404_122740-4b8cb6dd2907f3f07fd58af32db263c51743748195.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন। যার প্রভাব এরই মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বাজারগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, তার এই পদক্ষেপের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এটি প্রতিফলিত হবে মার্কিন শুল্ক আয়ের গ্রাফের রেখায়, যা এক শতাব্দীতে দেখা যায়নি-এমনকি বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের উচ্চমাত্রার রক্ষণশীল বাণিজ্যনীতির সময়ও না। এটি প্রকাশ পাবে রাতারাতি শেয়ারবাজারের পতনে, বিশেষ করে এশিয়ায়। 

বুধবার (২ এপ্রিল) ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে বিবিসির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল ইসলাম মন্তব্য করেন, এসব শুল্ক বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।

তার মতে, শুল্ক থেকে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ লাইন চার্টে বসালে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ১০০ বছর আগে সেই ত্রিশের দশকে ভীষণভাবে সুরক্ষিত মার্কিন অর্থনীতির আমলে সর্বশেষ শুল্ক থেকে এ ধরনের উচ্চ রাজস্ব আদায়ের নজির দেখা গিয়েছিল।

এবার নতুন করে শুল্ক ঘোষণার পর এক রাতেই বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারের দরপতন, বিশেষ করে এশিয়ার বাজার পরিস্থিতি দেখেও বিষয়টির প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

ট্রাম্প মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সব আমদানি পণ্যে সার্বজনীন ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত থেকে কার্যকর হবে। তাছাড়া দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যে উদ্ধৃত রয়েছে এমন বেশ কিছু দেশের ওপর প্রতিশোধমূলক প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এশিয়ার দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এতে হাজার হাজার কোম্পানি ও কারখানার পাশাপাশি অনেক দেশের ব্যবসায়িক মডেলই ভেঙে যাবে।

আশাঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর দ্বারা তৈরি কিছু সরবরাহ শৃঙ্খল তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙে যাবে। এর অনিবার্য প্রভাব অবশ্যই তাদেরকে চীনের দিকে ঠেলে দেবে।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, এটি কোনও আলোচনা নয়, এটি একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা।

ট্রাম্পের এই নীতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতিকে শূন্যে ফিরিয়ে আনা, যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুরো বদলে যাবে।

পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ওপর যেভাবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তাতে খুব দ্রুতই পোশাক, খেলনা ও ইলেকট্রনিক্সের দাম হু হু করে বেড়ে যাবে।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং মার্কিন শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তার কঠোর শুল্কনীতি থেকে ছাড় পায়নি বাংলাদেশসহ গোটা এশিয়া।

মোটা দাগে শুল্ক আরোপ হয়েছে চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে শুরু করে ইরাক, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর ওপরও। আরটিভি