News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

ঋণের শর্ত শিথিলে রাজি নয় আইএমএফ, কিস্তি ছাড়ে অনিশ্চয়তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিনিয়োগ 2025-04-08, 12:56pm

tretrew-cc4e9dce5133bd7402668093cbec5e701744095407.jpg




চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে কর বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপর প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় সম্ভব। পরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী অর্থবছরে কর ছাড় কমিয়ে ও করের হার বাড়িয়ে সরকারকে অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলে। কিন্তু বিষয়টি অসম্ভব হওয়ায় এনবিআরের পক্ষ থেকে শর্ত শিথিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তা নাকচ করে দিয়েছে আইএমএফ। এতে করে সংস্থাটি থেকে ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। 

সোমবার (৭ এপ্রিল) এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ আলাদাভাবে কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট অনুবিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেসব বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী অর্থবছরের বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা কীভাবে আদায় হবে তা বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়। আমরা বলেছি, এটি অসম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদেরকে (আইএমএফের সফররত প্রতিনিধিদল) এটি কমাতে প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তারা তাতে রাজি হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৯ এপ্রিল) এনবিআরের তিন অনুবিভাগের সঙ্গে সংস্থাটির কর্মকর্তারা আবারও বৈঠকে বসবেন। তবে এ শর্তপূরণ ছাড়া সমঝোতা করা না গেলে ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি দেখছেন একাধিক কর্মকর্তা। 

তারা বলছেন, শর্ত শিথিল না হলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি ছাড়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে। 

এনবিআরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বাকি ৩ মাসে আদায় করতে হবে আরও ১ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা। 

এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য আইএমএফ কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— বিলাসী পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো, বিভিন্ন খাতে যেসব কর অব্যাহতি রয়েছে তা চলতি জুনের পর বাদ দেওয়া এবং সব পণ্য ও সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা।

এর বাইরে প্রশাসনিক সংস্কার, রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা পৃথক করা, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়নের অগ্রগতি, আয়কর বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রকল্পের খসড়া প্রণয়নের অগ্রগতি, করপোরেট কর ও রিটার্ন অনলাইনে জমার সময়সীমা নির্ধারণও উঠে এসেছে প্রস্তাবনায়।

এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (আয়করনীতি) এ কে এম বদিউল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা গত অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ৭.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৪ শতাংশ করেছি। কিন্তু আইএমএফ মনে করে বাংলাদেশের বাড়তি রাজস্ব আদায় করার সক্ষমতা রয়েছে। এজন্য তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রার যে শর্ত, তা থেকে সরে আসেনি। 

প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে। এখন সরকার আশা করছে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে জুনে ছাড় হবে।আরটিভি