News update
  • Pakistan claims it has shot down five Indian fighter jets and a drone     |     
  • India says its strikes are of non-escalatory nature: BBC summary      |     
  • Waterways gasp for breath in Feni; 244 rivers, canals dying     |     
  • Indian Airstrikes Kill 8 in Pakistan, Mosques Hit     |     
  • Israeli crimes escalate, Gaza faces catastrophic situation     |     

যে কারণে গরম আর শীত বেশি চুয়াডাঙ্গায়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2024-04-19, 8:09pm

images-11-867d4888bd1437e75dac3e83a7aecb771713535973.jpeg




শীত ও গরমের আবহাওয়ায় আলোচনায় থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা। কারণ, শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত আর গরমের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হয় এ জেলায়। এটি এ জেলার আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গরমে হাঁসফাঁস আর শীতে কাঁপাকাঁপি। কেন এমন হয়?

তাপমাত্রার এমন তারতম্যের বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয় বেশ কয়েকটি কারণে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে ভৌগোলিক কারণ। চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার খুব কাছাকাছি। আর এ কারণেই শীতের সময় বেশি শীত ও গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলায় গাছপালা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বাড়ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াও অন্যতম প্রধান কারণ। এ জেলায় অপেক্ষাকৃত কম জলাভূমি রয়েছে। জলাভূমি বেশি থাকলে শীতের সময় তা শীত ধারণ করে ঠান্ডা কমিয়ে দিতে পারে। আর গরমের সময় জলাভূমির স্বল্পতার জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা যায় না। তাই বেশি গরম অনুভূত হয়।

জামিনুর রহমান জানান, শীত ও গ্রীষ্ম উভয়েই উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশে আসে। অর্থাৎ ভারতের কাশ্মীর, দিল্লি—এসব এলাকা থেকে বাংলাদেশের দিকে আসে। আবার পশ্চিমবঙ্গের তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়ে এ জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা বাড়লে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রাও বাড়ে।

এদিকে, গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র গরমেরও রেকর্ড রয়েছে এ জেলার। গত ১০ বছর জেলার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৫ সালের ২২ মে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি, ২০১৬ সালে ১১ ও ২২ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২০১৮ সালের ১৮ জুন ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০২২ সালের ২৪ ও ২৫ এপ্রিল ওই বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল ওই তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চারবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আজ চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।