News update
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     
  • Remittance inflow exceeds $632 million in first six days of Dec     |     
  • 18 migrants die as inflatable boat sinks south of Greek island of Crete     |     
  • TIB for polls manifesto vows to curb misuse of powers and religion     |     
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     

মেট্রোরেলের চলাচল সময় বাড়ছে কবে থেকে জানা গেল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-10-15, 2:11pm

ewet5rewr5t43w534-c558d6fffc7d1c6238279856831c0abd1760515916.jpg




মেট্রোরেলের চলাচল সময় এক ঘণ্টা বাড়ছে। আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে এ বাড়তি চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সকালে বর্তমান সময়ের চেয়ে আধঘণ্টা আগে চলাচল শুরু হবে। আর রাতে এখনকার সময়ের চেয়ে আধঘণ্টা বেশি চলবে।

নভেম্বরের মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। এতে দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি অন্তত দুই মিনিট কমে যাবে।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ-পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল।

মেট্রোরেলের ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে আরও কিছুদিন পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বাড়তি ট্রিপ শুরু হতে পারে।

এ ব্যাপারে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, পর্যায়ক্রমে তারা সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। রোববার থেকে দিনে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে। ট্রিপ বাড়াতে আরও কিছুদিন পরীক্ষামূলক চলাচল করতে হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ট্রিপ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।

কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসেই সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল। ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে আরও কিছুদিন পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বাড়তি ট্রিপ শুরু হতে পারে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করেন। বাড়তি সময় ও ট্রিপ শুরু হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ডিএমটিসিএল প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বর্তমানে সপ্তাহে ছয় দিন (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। আগামী রোববার নতুন সূচিতে চলাচল শুরু হলে এই স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। এখন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সবশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়ে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।

অন্যদিকে বর্তমানে মতিঝিল থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায়। নতুন সূচিতে সকাল ৭টায় ছাড়বে। রাতে মতিঝিল থেকে সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে।

মতিঝিল থেকে ছাড়া সবশেষ ট্রেন এখন উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১০টার পর। নতুন সূচিতে পৌঁছাবে রাত পৌনে ১১টার দিকে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ জানান, পর্যায়ক্রমে সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে দিনে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে। ট্রিপ বাড়াতে আরও কিছুদিন পরীক্ষামূলক চলাচল করতে হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ট্রিপ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন।

এ ছাড়া এখন শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। নতুন সূচিতে সময় আধঘণ্টা এগিয়ে বেলা আড়াইটায় চলাচল শুরু হবে। আর রাতে চলাচলের সময় বাড়বে আধা ঘণ্টা।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পথে চালানোর জন্য এখন ২৪ সেট ট্রেন আছে। প্রতি সেটে ছয়টি কোচ। বর্তমানে ১২ সেট ট্রেন সার্বক্ষণিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। বাড়তি সময়ে চালালে ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ালে সার্বক্ষণিক ১৯ সেট ট্রেন ব্যবহার করা হবে বলে জানায় ডিএমটিসিএল সূত্র।

দুই সেট ট্রেন সব সময় ওয়ার্কশপে রাখা হয়। এগুলো দিয়ে চালকের নানা পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া সকালে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর আগে লাইন পরীক্ষার জন্য এক সেট ট্রেন যাত্রীবিহীন চালানো হয়।

আরও দ্রুত ট্রেন পাওয়া যাবে

একটি ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের সময়ের ব্যবধান (হেডওয়ে) কত মিনিট হবে, তা এখন তিনটি স্তরে ভাগ করা আছে।

বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করেন। বাড়তি সময় ও ট্রিপ শুরু হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ডিএমটিসিএল প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ার) এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের ব্যবধান ছয় মিনিট। অর্থাৎ ব্যস্ত সময়ে প্রতি ছয় মিনিট পরপর ট্রেন আসে।

কম ব্যস্ত সময়ে (অফ-পিক আওয়ার) প্রতিটি ট্রেনের সময়ের ব্যবধান ৮ মিনিট। আর একেবারেই কম ব্যস্ত সময়ে (সুপার অফ পিক আওয়ার) ১০ মিনিট ব্যবধানে ট্রেন চলাচল করে।

মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী আরশাদুল হক বলেন, যানজটের শহর ঢাকায় মেট্রোরেলের যাত্রী–চাহিদা ব্যাপক। তাই মেট্রোরেলের চলাচল সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হলে তা যাত্রীদের জন্য ভালোই হবে।

বর্তমানে সারা দিনে ২৩৮ বার মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের সময়ের ব্যবধান কমে গেলে ট্রিপের সংখ্যা বাড়বে। তখন যাত্রীদের অপেক্ষার সময় আরও কমবে। অর্থাৎ আরও দ্রুত ট্রেন পাওয়া যাবে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। শুরুতে চলাচল করত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে স্টেশনের সংখ্যা বাড়ে। মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয় ২০২৩ সালের শেষ দিনে। এখন কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

২০১২ সালে অনুমোদনের সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছ থেকে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে।

মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা আরশাদুল হক। তিনি বলেন, যানজটের শহর ঢাকায় মেট্রোরেলের যাত্রী–চাহিদা ব্যাপক। তাই মেট্রোরেলের চলাচল সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হলে তা যাত্রীদের জন্য ভালোই হবে।