News update
  • 14-year-old Vaibhav Suryavanshi youngest ever IPL cricketer     |     
  • Chapainawabganj farmer creates stir with purple rice farming     |     
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     

হাতের টাকা ফিরছে ব্যাংকে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2024-11-27, 9:23am

rewrwqrwq-d816fba915fc2b1fb9fe91ffcc94d4df1732677819.jpg




আমানতকারীদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা ফেরত দিতে না পারলেও জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী আবারও দুর্বল ব্যাংকগুলোতে টাকা ফিরতে শুরু করেছে। আগের চেয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা কমিয়ে হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে রাখছেন গ্রাহকরা। ফলে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুনের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ যেমন কমছে, তেমনি বাড়ছে মেয়াদি আমানতের পরিমাণও। ব্যাংকাররা বলছেন, সরকারের নেয়া সংস্কার কার্যক্রমে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ফেরার ইঙ্গিত মিলছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসা কিছু ব্যাংকের আমানতকারীরা তাদের চাহিদা মতো টাকা তুলতে পারছেন না। এসব ব্যাংকে গ্রাহক ভোগান্তি হরহামেশাই চোখে পড়ছে। তবে ব্যাংকখাতের পুরো চিত্র কিছুটা ভিন্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিকের তুলনায় সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই তথ্য গ্রাহকদের আবারও ব্যাংকমুখো হওয়ার প্রমাণ দিচ্ছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ালে মানুষ ফিক্সড ডিপোজিট বেশি করে। কারণ এতে সুদ বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু ঋণের সুদ বাড়ার ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ কম নেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ঋণ কমিয়ে আমানত বাড়ানো।

অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুদের হার বাড়ানোর অন্যতম যে লক্ষ্য ছিল বাজার থেকে অতিরিক্ত অর্থ তুলে এনে ব্যাংকের আমানত বাড়ানো। এতে গতি ফিরেছে ব্যাংকগুলোতে।

জনগণের হাতে থাকা অর্থ ব্যাংকে আসায় বাড়ছে মেয়াদি আমানত। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতায় কমেছে তলবি আমানতের পরিমাণ। ব্যাংকারদের অভিমত, সুদের হার বাড়ায় গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহী হচ্ছেন।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যাংকের জন্য গ্রাহকের আস্থা হলো সবচেয়ে বড় সম্পদ। কোনো গ্রাহককে যদি ব্যাংক থেকে টাকা ছাড়া ফিরতে না হতো তাহলে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতো না।

ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, সুদের হার বাড়ানোর উদ্যোগটা আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল। তাহলে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ এতো বাড়ত না।

আর বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যদি মূল্যস্ফীতির চাপ কমিয়ে আনতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের ব্যয় হ্রাস পেয়ে ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ আরও বাড়বে। সময় সংবাদ