Prof. M Zahidul Haque
অধ্যাপক এম জাহিদুল হক
শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাইতো কোটা ব্যাবস্থার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে এর সুবিধাভোগী (বেনিফিসিয়ারিজ) নন বরঞ্চ দেশের সার্বিক জনগণ। ছাত্র-ছাত্রী সহ দেশের সকল মানুষ -- এমনকি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাসহ, সকল সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই কোটা ব্যাবস্থার স্টেকহোল্ডার। কারণ- এঁদের ছেলে-মেয়ে, ভাইবোনরাসহ এখন যারা শিশু-তারাই ভবিষ্যতে এই কোটা ব্যবস্থা দ্বারা উপকৃত হবে। এই লেখক মনে করেন যে -- গণতান্ত্রিক কোনো একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই বিষয়টির সুরাহা হওয়া উচিত--অর্থাৎ দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নিক --কোটা কত পার্সেন্ট পর্যন্ত রাখা যেতে পারে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় -- সরকারকে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা সনদগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনরায় যাচাই করতে হবে। মাঝে মধ্যেই সংবাদ পত্র ও অন্যান্য মিডিয়া এ খবর প্রকাশিত হয় যে অনেক মুক্তিযোদ্ধার জন্মই ১৯৭১ এর পরে। কিছু জাল সনদের কথাও শোনা যায়।
ব্যাক্তিগত ভাবে পরিচিত দু'একজন মুক্তি যুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করা সত্ত্বেও তাঁরা কোনো সনদ নেননি।
এই লেখক মনে করেন যে - মুক্তি যোদ্ধাদেরকে প্রদত্ত ভাতা কে "'সম্মানী" বলা উচিত। দেশের শ্রেষ্ট সন্তান -- যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন -- তাঁরা অবশ্যই জাতীয় স্বীকৃতি ও সম্মান প্রাপ্তির যোগ্য। এ পর্যায়ে তাঁদের পোষ্যদের জন্য কোটা অবশ্যই রাখা একান্ত প্রয়োজন। তবে এর পার্সেন্টেজ কত হবে --সেটা নির্ভর করে সময়ের প্রেক্ষাপটের উপর। আমি মনে করি ডেসেরভিং মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য চিকিৎসা সহ আরো অন্যানো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা উচিত।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা সহ অন্যান্য কোটা, যেমন প্রতিবন্ধী কোটা, মহিলা কোটা ইত্যাদি সংরক্ষিত রাখতে হবে।
(লেখক: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক)