News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2024-06-13, 4:25pm

baastucyut_thaamb-493703645d79a2ec75d6081fe8a3cc7f1718278992.jpg




যুদ্ধ, সংঘাত ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বসবাস করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থায় বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যাকে ‘ভয়ঙ্কর অভিযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিশ্ব সংস্থাটি। খবর এএফপির।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, বর্তমানে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। গাজা, সুদান ও মিয়ানমারের মতো বিভিন্ন সংঘাত লোকজনকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত লোকজনের এই সংখ্যা জাপানের মোট জনসংখ্যার সমান।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণ বাস্তুচ্যুতির এসব ঘটনার পেছনে সংঘাত অন্যতম প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে।’

ইউএনএইচসিআর তাদের প্রতিবেদনে জানায়, গত বছরের শেষ ভাগে ১১ কোটি ৭৩ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়ে অবস্থান করছিল। আর এ বছরের এপ্রিল মাস শেষে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটিতে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি বলছে, এক বছর আগে বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা ছিল ১১ কোটি। গত ১২ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে বাস্তুচ্যুত লোকজনের সংখ্যা বাড়ছেই এবং ২০১২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। নতুন ও পরিবর্তিত সংকটের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সংকটগুলোর সমাধান না হওয়ায় বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বাড়তে থাকা সংকটের বিষয়টিকে তুলে ধরার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে জনসংখ্যার অভিগমন ও সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার ওপর আলোকপাত করেন। গত বছর ইউএনএইচসিআর ২৯টি দেশে ৪৩টি জরুরি অবস্থা জারি করে। গ্র্যান্ডি জানান, যেভাবে সংঘাত ছড়াচ্ছে তাতে আন্তর্জাতিক আইনের অবজ্ঞা করা হচ্ছে এমনকি কোনো সময় বিশেষ উদ্দেশ্যে লোকজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেন, এই ধরনের প্রবণতা কমে আসার সম্ভাবনাও কমে আসছে।

ইউএনএচিসিআরের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ১১ কোটি ৭৩ লাখ বাস্তুচ্যুত লোকজনের মধ্যে ছয় কোটি ৮৩ লাখ লোক নিজ দেশে বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। আর শরণার্থী ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আওতায় এসেছে চার কোটি ৩৪ লাখ মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুদানের গৃহযুদ্ধ বাস্তুচ্যুত লোকসংখ্যার বাড়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৩ সালের শেষে এসে দেশটিতে বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা দাঁড়ায় এক কোটি ১০ লাখে। তবে এই সংখ্যা বাড়ছেই।

এ ছাড়া সশস্ত্র সংঘাতের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো ও মিয়ানমারে লাখ লাখ লোক বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় প্রায় ১৭ লাখ লোক চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় পৌনে তিন লাখ লোক অন্য দেশে চলে গেছে আর যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও সাড়ে সাত লাখ মানুষ।

তা ছাড়া সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি এক কোটি ৩৮ লাখ লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এনটিভি নিউজ।