News update
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     

তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত সাদিক খান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2024-05-05, 6:33am

23be2d121cca0716fa6c56701bf3e9929e589c47d7f139cd-b06e30b5cdbd4ae0c184aa61bf5b61c01714869222.jpg




টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাদিক খান। শহরে অপরাধ দমন ও পরিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি। তিনিই প্রথম কোনো রাজনীতিক যিনি টানা তৃতীয়বার মেয়র হওয়ার রেকর্ড গড়লেন।

২০১৬ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান। এরপর ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন মতে, শনিবারের (৪ মে) নির্বাচনে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সুসান হল পেয়েছেন মাত্র ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।

কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণার মাধ্যমেই সাদিক খান জয়লাভ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি লন্ডনের সাবেক মন্ত্রী পল স্কুলিসহ আরও হাইপ্রোফাইল টরি প্রার্থীদের পেছনে ফেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগবঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।

তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে। ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।

সাদিক খানের বাবা আমানুল্লাহ খান ও মা সেহেরুন খান পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭০ সালে, সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে। সাদিক খান তাদের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম। তারা সাত ভাই ও এক বোন।

সাদিক খান স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে পড়তেন এবং সেখানেই ১৫ বছর বয়সে তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। আর্নেস্ট বেভিন কলেজ নামে ওই স্কুলের প্রধান ছিলেন যুক্তরাজ্যের কোনো মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক।

১৯৯৪ সালে খান একটি আইন সংস্থায় মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিবাহ। সাদিয়াও আইন পড়তেন এবং কাকতালীয়ভাবে তিনিও বাসচালকের কন্যা।

আনিসা আর আম্মারা নামে তাদের দুই কন্য সন্তান রয়েছে। সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।

২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন, সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে ব্যক্তি’ এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই কঠিন’। আরটিভি নিউজ।