News update
  • Global Food Prices Rose in April: FAO     |     
  • Will Cumilla’s long abandoned airport surge back to life     |     
  • Expanding Bangladesh-Afghanistan Trade Prospects     |     
  • End misuse of police, ensure pol neutrality: Noted Citizens     |     
  • Decision on corridor must come from Parliament: Tarique     |     

মিয়ানমারে বিদ্রোহী জোটে ভাঙন, যুদ্ধ ছেড়ে জান্তার সঙ্গে হাত মেলাল দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-01-31, 11:40pm

e4b47a59b9c4c93adaccfd47dc37307dae6fc2ce68c538c6-79bc9a062fd8ccbfe3bc640b2f26803d1738345241.jpg




মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ থামাতে চীনের কূটনৈতিক তৎপরতার ফল মিলল। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। খবর দ্য ইরাবতীর।

 যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তানুসারে গোষ্ঠীটি চলতি বছরের জুনের মধ্যে উত্তর শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিও থেকে যোদ্ধাদের প্রত্যাহার সম্পন্ন করবে। এমএনডিএএ’র যোদ্ধারা জান্তাবাহিনীর সাথে প্রায় এক বছরের সংঘাতের পর গত বছরের আগস্টে শহরটি দখল করে নেয়।

২০১৯ সালে তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী তথা মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ) মিলে একটি জোট গঠন করে যার নাম দেয়া হয় থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এটি ৩বিএইচএ নামেও পরিচিত। 

এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হল এমএনডিএএ যা কোকাং আর্মি নামেও পরিচিত। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রায় তিন বছরের মাথায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’। জোটের এই অভিযান ব্যাপক সফলতা পায়।

এমএনডিএএ চীন সীমান্তবর্তী শান প্রদেশের রাজধানী লাশিও ও আশপাশের বিশাল একটা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের দখলে নেয় আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি এখন রাখাইনকে কেন্দ্র একটি ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।

একাধিক রিপোর্ট মতে, মিয়ানমারের বেশিরভাগ এলাকাই এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে। যেমন বাংলাদেশ সীমান্তবর্বী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের প্রায় পুরোটাই এখন নিয়ন্ত্রণ করছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। হারানো এসব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে মরিয়া জান্তা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। লড়াইয়ে ব্যবহার করছে যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র।

এই অবস্থায় চীনের জোর কূটনৈতিক তৎপরতায় চলতি মাসে এমএনডিএএ ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যদিয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয়। চুক্তির আওতায় চলতি বছরের জুন মাসের শেষ হওয়ার আগেই লাশিও শহর থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের প্রত্যাহার চূড়ান্ত করবে এমএনডিএএ।

চলতি মাসের গোড়াতেই জান্তা সরকারের বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত মন্ত্রী কান জাও দাবি করেন, কিয়াউকফিউতে জান্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে নিরুপদ্রবে কাজ চালাচ্ছে চীনা ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাগুলো।

তিনি আরও জানান, জান্তা সরকার পরিচালিত সংস্থা ‘কিয়াউকফিউ এসইজেড কনসোর্টিয়াম’ এবং চীনা সংস্থা সিআইটিআইসির যৌথ উদ্যোগে নির্মীয়মাণ ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ও গভীর সমুদ্রবন্দরে কোনো হামলা চালাননি ওই এলাকায় সক্রিয় এমএনডিএএ যোদ্ধারা।

গত দেড় বছরের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে এই ঘটনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। কিয়াউকফিউ সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরের সঙ্গে বিকল্প বাণিজ্যপথ তৈরি করতে সক্রিয় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। এই বন্দর ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘চীন-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডরে’র অন্যতম অংশ।

তবে বিদ্রোহী সশস্ত্র জোটের বৃহত্তম শরিক আরাকান আর্মি ও আরেক গোষ্ঠী টিএনএলএ জান্তার সঙ্গে আপসে আসতে নারাজ। পরবর্তী সময়ে জান্তাবিরোধী যুদ্ধে শামিল হওয়া ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) ও চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)-ও এখনও লড়াই থেকে সরে আসার বার্তা দেয়নি।

শান প্রদেশে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ এবং তাদের সশস্ত্র শাখা শান স্টেট আর্মিও জান্তাবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় বলে জানা গেছে। সময়।