Discussion meeting organised by the Muslim League marking the 108th death anniversary of Nawab Salimullah on Tuesday.
সারা বিশ্বে সাধারণ মুসলমানদের উপর আজ ভয়াবহ দমন-পীড়ন চলছে। ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, মিসর, মিয়ানমার, চীন, ভারত সর্বত্রই। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সালে ফলপ্রসূ হিসাবে প্রমাণিত নবাব সলিমুল্লার রাজনৈতিক দর্শন মুসলিম জাতিসত্তার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বিশ্ব হতে পারে এ অন্যায় থেকে মুক্তির মূলমন্ত্র। ওআইসি সহ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
নিপীড়িত বাঙ্গালী মুসলমানের মুক্তিদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অগুনতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক ঢাকার রূপকার, ভারত বিভক্তির নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (১৭ জানুয়ারি) বিকল ০৩.০০টায় দলীয় পল্টনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম, এ্যাড. হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ, আব্দুল আলিম, মোঃ নূরআলম, মুসলিম সমাজের সভাপতি মাসুদ হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নবাব খাজা সলিমুল্লাহর প্রস্তাবে ১৯০৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগের পতাকা হাতে নিয়েই শের-এ-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী, পণ্ডিত আবুল হাসিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত রাজনৈতিক নক্ষত্ররা ভারত বিভক্ত করে পাকিস্তান সৃষ্টি করেন। তার প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৭ সালের আজাদি আন্দোলন, ৫২র ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ৯০এর গণঅভ্যুত্থান সহ দেশের প্রায় সকল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নবাব সলিমুল্লাহর কাছে গোটা জাতি ঋণগ্রস্ত অথচ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পরিবর্তে ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। ইচ্ছে করলেই নবাব সলিমুল্লাহর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তিনি মুসলিম জাতিসত্তা চেতনা, উপমহাদেশে মুসলমানদের রাজনৈতিক ও শিক্ষা সচেতন করার জন্য তার কর্মকাণ্ডের মাঝেই আজীবন বেচে থাকবেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম আর আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াই যতদিন চলবে ততদিন নবাব সলিমুল্লাহ গোটা জাতির জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবেন। সভা শেষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বার্তা প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব, ০১৮১৭০১৪৪৪০