Kazi Abul Khair Muslim League General Secretary
বিরোধী দল শূন্য একদলীয় পাতানো নির্বাচন নিয়ে শুরু থেকেই জনগণের কোন আগ্রহ ছিল না। তারপরও ভোটের দিন জাল ভোটের মহোৎসব, অনিয়ম, সহিংসতা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের কৌতুকময় কৃত্রিম সারি, শিশু-কিশোরদের ভোট প্রদান, ভোটের শতকরা হার নিয়ে বিভ্রান্তি ও নাটক ইত্যাদির পাশাপাশি জনগণের বৃহত্তর অংশের ভোট বর্জনের কারণে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ভোটারশূন্য চিত্র যেন “গণতন্ত্র-মানবাধিকার-ভোটাধিকার ফিরিয়ে দাও” বলে নীরবে চিৎকার করে যাচ্ছিল।
বিভিন্ন ধরনের চাপ ও প্রতিকূলতা কাটিয়ে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এই সাজানো নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মত আরেকটি কলঙ্ক তিলক উপহার দেয়া ছাড়া আর নতুন কিছুই দিতে পারেনি। বরং আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কালীন সরকারের কোন বিকল্প নেই। বৈশ্বিক রাজনীতির কৌশলগত কারণে ও নিজ নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে সকল রাষ্ট্র এই রকম একতরফা, পাতানো ও সাক্ষীগোপাল নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাদের ১৮কোটি বাংলাদেশী নাগরিকের কথা ভুলে গেলে চলবে না।
দেশের জনগণ বিশ্বাস করে, যে সকল রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে তারাই প্রকৃত বন্ধু-রাষ্ট্র। আজ (১০ জানুয়ারি, ২০২৩) ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মতামত প্রকাশ করে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। নেতৃদ্বয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আধিপত্যবাদের সাথে আজন্ম আপোষহীন মুসলিম জাতিসত্তা আদর্শে অনুপ্রাণিত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বরাবরের মতই সামিল থাকবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি