Adv Abul Khair
সম্প্রতি রামমন্দির উদ্বোধন কালে ভারতীয় মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের “রাম মন্দির নির্মাণ হল অখণ্ড ভারতের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া” এই মন্তব্যে গভীর নিন্দা, ক্ষোভ, বিস্ময় ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ (২৩ জানুয়ারি, ২০২৪) বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেন, নবাব সলিমুল্লাহর রাজনৈতিক দর্শন মুসলিম জাতীয়তাবাদের প্রেরণা শক্তিতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত করে যে রাষ্ট্রসমূহের অভ্যুদয় ঘটেছে সেই সব দেশের স্বাধীনতার সর্বশেষ রক্ষাকবচ হিসাবে মুসলিম জাতিসত্তাই আজীবন ভূমিকা রাখবে।
বারবার ভারতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অখণ্ড ভারতের আলাপ করে উপমহাদেশের রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে যা মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণকে অনিবার্য করে তুলছে। ৪৭পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অখণ্ড ভারত একটি কাল্পনিক বিষয় মাত্র। এখনও যারা এই কাল্পনিক বিষয় নিয়ে অখণ্ড ভারতের দিবা স্বপ্নে বিভোর তাদের মুসলিম জাতিসত্তার শক্তিমত্তা সম্পর্কে ধারণা নেই; যাদব বাবুদের পূর্ব পুরুষেরা ১৯৪৭সালে এর শক্তিমত্তা উপলব্ধি করেছিল। অখণ্ড ভারতের আলাপ একটি দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক বিষয় এবং ভারতীয় আগ্রাসী মনোভাবের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ৪৭এর পরাজিত শক্তি ব্রাহ্মণ্যবাদীরা যদি এখনই এ ধরণের ষড়যন্ত্রের যতি টেনে না ধরেন, তবে তাদের আগ্রাসনের জবাব দিতে এ অঞ্চলে মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণ অবশ্যম্ভাবী। তখন অখণ্ড ভারতের দিবা স্বপ্ন যাদব বাবু ও তাদের দোসরদের জন্য এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, অখণ্ড ভারতের কথা বলা মানে অনেকগুলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে চরমভাবে অবজ্ঞা করা। এটা চূড়ান্ত ধরনের অশোভনমূলক রাষ্ট্রীয় রীতি-নীতির লঙ্ঘন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ। বাংলাদেশের জনগণ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যাগুরু অংশের এই অখণ্ড ভারত বিষয়ে কোন সম্পৃক্ততা বা সমর্থন নেই। নেতৃদ্বয় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এর ব্যাখ্যা দাবী ও রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছেন। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি