News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে : রিজভী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2024-02-22, 3:31pm

i8a8a7iaui-980b539450277cf346af5cdab01482de1708594304.jpg




বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আবারও বৃদ্ধি করবে সরকার। গণবিরোধী সরকার জবাবদিহিতার ধার-ধারে না। এই অবৈধ সরকারের পক্ষে কোনো গণরায় নেই। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানরি দাম বাড়ানো হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দখলদার সরকারেরা ঐতিহ্যগতভাবেই নিপীড়ক হয়। জনগণকে শত্রুপক্ষ ভাবে। তাই ক্ষমতা দখলে রেখে একের পর এক জনগণের ওপর অত্যুগ্র মাত্রায় জুলুমের খড়গ নামিয়ে আনে। জনগণের প্রতি এই ঔদাসীন্য ও তাচ্ছিল্যভাব অক্ষমণীয়।’

রিজভী বলেন, “জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত হবে অতীব নিষ্ঠুর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হলে এর চেইন রিয়েকশনে জনসাধারণের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কৃষি শিল্প, কলকারখানা গভীর সংকটে পড়বে। এমনিতেই বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। মানুষ তার প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এর ওপরে এই দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ওপর চরম আঘাত আনবে। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষরা এমনিতেই কঠিন কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। দেশে ৮০ শতাংশ মানুষের আয় বাড়েনি। অনাহারে-অর্ধাহারে কোনোরকম জীবন কাটাচ্ছে। তার ওপর সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে। সামনে রমজান মাস, তার আগেই এই দামবৃদ্ধি হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো’।”

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘উন্নয়নের নামে দেশ-বিদেশ থেকে ব্যাপকহারে ঋণ নিয়ে জনগণের ওপর বিপুল পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে ঋণের বোঝা। সরকারের হরিলুটের আর্থিক নীতির কারণে দেশের রাজকোষ প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছে। এখন ডলার সংকটের কারণে কয়লা উৎপাদনের খরচ বাড়ার কথা বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামবৃদ্ধি সরকারের একটি অমানবিক খেলা বলে জনগণ মনে করে। জনগণের প্রশ্ন, ডলারের রির্জাভ গেল কোথায়? উন্নয়নের ফানুস দেখিয়ে ডলার কারা আত্মসাৎ করেছে, কারা বিদেশে সম্পদ পাচার করেছে, অর্থ পাচার করেছে, বিশাল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে—তা জনগণ জানে। এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দামবৃদ্ধি করা বিভিন্ন কায়দায় জনগণের রক্ত চুষে নেওয়ার আরেকটি পৈশাচিক পন্থা। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দাম বৃদ্ধির উদ্যোগে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা গতকাল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য লম্বা-চড়া বক্তৃতা দিয়েছেন। বর্তমান দখলদার শাষোকগোষ্ঠী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য অন্তপ্রাণ দেখালেও বাস্তবে দেশকে পরিণত করা হচ্ছে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা কেন্দ্র হিসেবে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আত্মনির্ভরশীলতার স্থলে পরনির্ভরশীলতাকে করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় নীতি। এখন ভারত থেকে কচুমুখীও আমদানি করতে হয়। প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত এখন ছেপে আসে ভারত থেকে। পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত অনেক প্রবন্ধ কবিতায় বানান ভুলে ভর্তি। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষার চর্চাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য নানা কায়দায় পার্শ্ববর্তী দেশের রাষ্ট্রভাষার চর্চাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে নিরন্তরভাবে। নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতির বদলে ব্যাপকভাবে ভিনদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে তাদের গল্প, কবিতা ও কার্টুনের বইয়ের পাশাপাশি সিনেমা ও নাটকের ব্যাপক আমদানি করা হচ্ছে। এই সরকার বাংলাদেশের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য করে পাঠ্যপুস্তকে ভিনদেশি চেতনা ঢোকানো হয়েছে। কোমলমতি শিশুদের মনে জাতীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের দেশাত্মবোধক যেসব গল্প, কবিতা এবং বরেণ্য জাতীয় নেতাদের জীবনী পাঠ্যপুস্তক থেকে ক্রমান্বয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে, দলীয় ও ভিনদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রভাবে। ইংরেজি ও হিন্দির মিশ্রনে বিকৃত বাংলা ভাষার চর্চায় এবং প্রযুক্তির বিকৃত ব্যবহার ও চর্চার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মৌলিক ভাষা ও সাংস্কৃতিক চেতনা।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম ও তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ। এনটিভি