News update
  • Brazil Launches Fund to Protect Forests and Fight Climate Change     |     
  • UN Warns Conflicts Are Devastating Ecosystems Worldwide     |     
  • Flood-hit Kurigram char residents see little hope in politics, elections     |     
  • Air quality of Dhaka continues to be ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • BNP pledges to implement signed July Charter     |     

সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে বিএসএফ তার ওয়াদা রাখেনি - সাইফুল হক

সীমান্তে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড ভারতের সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়

রাজনীতি 2024-04-30, 1:02pm

saiful-huq-gs-biplabi-workers-party-406b79aa493653d1ceae683d7b514e411714460543.jpg

Saiful Huq GS Biplabi Workers Party



বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ২৭ এপ্রিল  গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী - বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক আবুল কালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন গত বেশ কিছুকাল ধরে সীমান্তে বিএসএফ পোকামাকড়ের মত বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করে আসছে।  এটা বাংলাদেশকে দেয়া বিএসএফ এর ওয়াদার বরখেলাপ। গত ৯ মার্চ ঢাকায় বিএসএফ প্রধান  আবারও সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার ঘোষণা করেন।কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা তারা বন্ধ করেনি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে তারা বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করছে। এটা বাংলাদেশের সাথে  প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।।ভারতের এসব তৎপরতা কোন সৎ প্রতিবেশীর পরিচয় নয়; বরং তাদের বাংলাদেশ বিরোধী আগ্রাসী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। 

তিনি বলেন, কেবল ২০২৩ সালে বিএসএফ হাতে ৩০ জনের বেশী বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন।আর গত সাত বছরে বিএসএফ এর গুলি ও অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন দুই শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক, আহত হয়েছেন অনেকে। 

তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সীমান্তে  লেনদেনে সমস্যা হলেই বিএসএফ মারমুখী হয়ে উঠে এবং গুলি চালিয়ে বাংদেশীদের প্রাণনাশ কর

 সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের সরকারসমূহের ভারত তোষণ নীতি, বিশেষ করে গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত অনুগত পররাষ্ট্র নীতির কারনে  সীমান্ত হত্যা বন্ধ, পানির ন্যায্য অংশীদারিত্ব,বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠাসহ ভারতে বাংলাদেশ বিরোধী বহুমুখী অপতৎপরতা বন্ধ করানো যায়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন প্রায় প্রতিদিন ঘোষণা করছে যে, বাংলাদেশ - ভারত বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ শিখরে তখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ত দিয়ে জ্বর এই বন্ধুত্বের নির্মম দায় শোধ করতে হচ্ছে।

তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার সীমান্তে নিরিহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ দূরের কথা, এর উপযুক্ত প্রতিবাদ করার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সীমান্তবর্তী লক্ষ লক্ষ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানেও তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকরি কোন উদ্যোগ নেই।গত পনের বছর শাসক দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে অবৈধ ও অনৈতিক ক্ষমতার পিছনে ভারতের চরম হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের এককাট্টা মদদ ও সমর্থনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে তারা ভারতের  অনুগত রাষ্ট্রে পরিনত করেছে।এই পরিস্থিতি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে

তিনি অনতিবিলম্বে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে সীমান্ত হত্যার শক্ত প্রতিবাদ ও তা বন্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা বিধানেও কার্যকরি উদ্যোগ নেবার দাবি জানান। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি