News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যা বললেন সালাহউদ্দিন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-07-10, 6:52pm

img_20250710_184958-b1fb3cc1c3ff009a2e5a1cb0064f02061752151943.jpg




একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে- এ কথা জানিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারকে লিখিত প্রস্তাবনাও দিয়েছে দল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের একাদশ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন বলেন, 

জুলাই ঘোষণাপত্রের একটি প্রস্তাবনা বিএনপির কাছে দিয়েছে সরকার, এনিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে। গতকাল রাতে নতুন করে ড্রাফট দেয়া হয়েছে।

ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকে না-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে যথাযথ মর্দাযায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায় বিএনপি।

একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে- এ কথা জানিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেন, 

এ বিষয়ে সরকারকে লিখিত প্রস্তাবনাও দিয়েছে দল।

স্বাধীনতার পর জনপ্রতিনিধিরা ঘোষণাপত্র তৈরি করেছিলেন, তারা আলোচনা করে সংবিধান প্রণয়ন করেন পরবর্তীতে ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে সংযুক্ত করা হয়নি বলেও জানান তিনি।  

এ সময় তিনি বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন, জ্যেষ্ঠ দুই জনের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করার পক্ষে বিএনপি তবে এ বিষয়ে ঐকমত তৈরি হয়নি। বিচার বিভাগকে বাইরে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার ব্যাপারে সবাই একমত। কাদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে তা নিয়ে ঐকমত তৈরি হয়নি।

দলীয় ফোরামে আলোচনা করে উচ্চকক্ষের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা আরও সহজ হবে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জরুরি অবস্থা জারি যাতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কারা সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন নেয়ার ব্যাপারে একমত। জীবনের নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় ক্ষুণ্ণ করা যাবে না এমন বিষয়ে একমত।

অভ্যন্তরীণ গোলযোগ শব্দ প্রত্যাহার করে বিলুপ্তির প্রস্তাবে একমত বিএনপি। তবে যুদ্ধ এবং বহির্আক্রমণ ছাড়া আরও কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়লে অথবা প্রাকৃতিক মহামারি ছড়িয়ে পড়লে জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবনা বিএনপির বলেও জানান তিনি।