Islami Buddhijibi Front
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহবায়ক শাহসূফী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মাজার ভেঙ্গে লাশ পোড়ানোর ঘটনা ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন। ইসলামকে বিশ্বে ভুলবালভাবে উপস্থাপন করতে অতিউৎসাহীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যা হয়েছে তা পুরোটাই অজ্ঞতাজনিত বর্বরতা। এর সাথে ইসলাম, ইসলামী রাজনীতি ও ইসলামী চিন্তার কোন সম্পর্ক নাই। এই বর্বরতার সাথে সম্পৃক্ত মূল পরিকল্পনাকারী ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানাই।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে শাহসূফী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন, এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বারংবার সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জনমনে যে বিষয়টি নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা স্থানীয় প্রশাসন জানতো। কিন্তু তারা কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসনের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান প্রমাণ করতে এধরণের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরের লাশের প্রতিও সম্মান দেখিয়েছেন। সেখানে মুসলমান বলে দাবীদার কারো লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেয়ার মধ্যে যে বর্বরতা তা ইসলামের চিন্তাকাঠামোতে কল্পনাও করা যায় না। বিশেষ করে প্রশাসনের নিরবতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া নুরা পাগলা নিজেকে ইমাম মাহদী বলে দাবি করেছে। নুরা পাগলার ছেলে মানুষকে খ্রীষ্টান বানানোর কাজ করেতো। এ নিয়ে স্থানীয় জনতার মধ্যে চরম উত্তেজনা কাজ করেছিল যা প্রশাসন জানতো। কেন তার ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি