News update
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     
  • India willing to work together inspired by shared sacrifices of past     |     
  • India rejects assertions made by Bangladesh interim govt     |     
  • Hadi to be flown to Singapore on Monday: CA’s Press Wing     |     
  • Public awareness campaign before fuel loading at Rooppur NPP     |     

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-10-31, 5:23pm

trterewr-7305ce24b745bdc526e8720fad0005b41761909815.jpg




জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা চায় বিএনপি। সেই নির্বাচন বানচালে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই। নির্বাচনের দিন দুই ব্যালটে ভোট হবে। একটি গণভোটের ব্যালট, আরেকটি সংসদ ভোটের ব্যালট।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তাদের প্রতিও আহ্বান— জনগণের দাবি একটি অবাধ নির্বাচন, সেটিতে যেন কেউ বাধা না দেয়।

এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে এই সংকট সত্যিকার অর্থে তৈরি করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং তাদের তৈরি করা সংস্কার কমিশন। দীর্ঘ এক বছরের মতো সময়ে ঐকমত্যের বিভিন্ন বিষয়ে যারা আলোচনা করেছেন, তারা কয়েকটা বিষয়ে একমত হয়েছেন, কয়েকটি বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। এজন্য নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলাম। বৃষ্টি উপক্ষো করে ছাতা মাথায় জুলাই সনদে সাক্ষর করলাম। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে সুপারিশ দেওয়া হলো, সেখানে অনেক পার্থক্য ছিল। আমরা যে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলাম সেগুলো উল্লেখ করা হয়নি।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের প্রতি যে আস্থা রেখেছিলাম, তা ভঙ্গ করা হয়েছে। জনগণের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেছে, যেটা তাদের কাছ থেকে আশা করিনি। 

বিএনপি সংস্কারের দল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্যদিয়ে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন সব পত্রিকা বন্ধ ছিল, তিনি সেগুলো খুলে দিয়েছিলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থা থেকে পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে ফিরে আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সেটি না মানলেও তিনিই নির্বাচন করে মেজরিটি নিয়ে এসে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। সেই ব্যবস্থার অধীনে ৪টি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিএনপি সংস্কার চায় না, একথা যারা বলে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এমন কথা বলে। বিএনপি অবশ্যই সংস্কার চায়। সংস্কারের জন্যই বিএনপি ১০ দফা, ২৭ দফা, ৩১ দফা দিয়েছে। আমরা সংস্কার চাই এবং সংস্কারের জন্যই আমরা প্রতিটি সভায় উপস্থিত থেকেছি। শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যের সনদে সই করেছি। আমরা কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করিনি। বিভ্রান্তি যদি আসে, সেটা ঐকমত্য কমিশনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসেছে।আরটিভি