News update
  • Young disabled people of BD vow to advocate for peace     |     
  • World Leaders Urged to Defend Human Rights and Justice     |     
  • Vegetable prices remain high, people buy in small quantities     |     
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     

চীনে কোভিড বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2022-12-30, 9:15am




চীনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতও নিজেদের দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে প্রস্তুত করছে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী যে, দেশটির জনসংখ্যার একটা বড় অংশের টিকা নেওয়া থাকায় বা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায়, ভারত হয়ত মহামারীর আরেকটি মারাত্মক ঢেউ থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। দেশটিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছিল।

ভারত সরকার চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড থেকে আগত যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়াও ভারতে আগত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো থেকে ২% যাত্রীর কোভিড পরীক্ষারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রক অঙ্গরাজ্যগুলোকে এটি নিশ্চিত করতে বলেছে যে, হাসপাতালগুলো যেন সম্ভাব্য সংক্রমণ বৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত থাকে এবং সেগুলোতে যাতে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ ও ভেন্টিলেটর থাকে। কর্মকর্তারা বলছেন যে দেশটি জিনোম সিকুয়েন্সিংও বৃদ্ধি করবে, যা দিয়ে ভাইরাসটির নতুন ধরণ সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এই বছর এর আগে শিথিল করার পর ভারত মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা পুনরারোপ করেনি। তবে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানুষজনের প্রতি অনুরোধ করেন যেন তারা কোভিড-উপযুক্ত আচরণে ফিরে যায় এবং মাস্ক পরে। যারা এখনও টিকা নেয়নি তাদের টিকা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ভারতে মহামারীর তিনটি ঢেউ আঘাত হানে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহটি ঘটে ২০২১ এর গরমকালে, যখন কিনা দেশটি হাসপাতাল শয্যা ও অক্সিজেনের ব্যাপক সংকট মোকাবেলা করতে হিমশিম খায় এবং হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর জানায়।

তবে তারপর থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশটিতে মহামারী থিতু হয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত, মহামারীর আরম্ভের পর থেকে সবচেয়ে কম সংখ্যক সংক্রমণের খবর জানাচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে ৩,৫০০ জন সংক্রমিত ব্যক্তি রয়েছেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।