News update
  • WHO Warns Global Surge in Antibiotic Resistance     |     
  • Dhaka stocks rebound after five-day losing streak     |     
  • Cox’s Bazar Airport Upgraded to International Status     |     
  • With $80 per capita Bangladesh is getting trappeded in climate debt     |     
  • Dhaka’s air recorded ‘unhealthy’ Monday morning     |     

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের রেকর্ড

গ্রীণওয়াচ ডেক্স রোগবালাই 2023-12-29, 9:03am

lkfjaifao-71ffb8176cbb925b5d8c9f22edfd5eb91703819022.jpg




প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেড় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ছুঁয়েছেন অধ্যাপক কামরুল ইসলাম ও তার প্রতিষ্ঠান শ্যামলীর সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস (সিকেডি) অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল। গরীব রোগীদের কম মূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৪ সালে এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় রাজধানীর শ্যামলী সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই মাইলফলক অর্জন করেন তিনি।

অধ্যাপক ডা. কামরুল বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে- আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই অর্জন আমার জন্য খুবই সম্মানের এবং গৌরবের। স্রষ্টার কাছে এর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কখনো শেষ হবে না। দোয়া করবেন যেন আমৃত্যু এই কাজটি করে যেতে পারি।

বিগত ১৬ বছর ধরে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক। তার প্রতিস্থাপনের সফলতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশের বেশি। একসময় সরকারি চাকরি করলেও চিকিৎসার দীর্ঘসূত্রিতা ও স্বাধীনভাবে রোগী সেবার সুযোগ না থাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি প্রতিস্থাপন শুরু করেন।

দীর্ঘ যাত্রার বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, যখন আমরা কাজটা প্রথম শুরু করি, তখন আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল। আমরা তখন নিশ্চিতও ছিলাম না আমাদের পরিকল্পনাগুলো আলোর মুখ দেখবে কি-না। তখন আমাদের একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খুবই ভয় হতো। আমরা দুশ্চিন্তায় ভুগতাম যে, আমাদের কাজটা সফল হয় কি-না, কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হয় কি-না। যে কারণে প্রথম দিকে আমাদের প্রতিস্থাপনের সংখ্যা এত বেশি ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির শুরুর দিকে মাসে ২টি কিডনি প্রতিস্থাপন করলেও বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। ডা. কামরুলের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি চিকিৎসক দল কিডনি প্রতিস্থাপন করছেন।

নির্ধারিত ন্যূনতম খরচ বাদে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্জনের কোনো ফি নেন না অধ্যাপক কামরুল। রোগীদের ফলোআপ পরীক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ ও রিপোর্ট দেখার ফিও নেওয়া হয় না তার হাসপাতালে। এ ছাড়া, খরচ কমাতে কিডনি সংরক্ষণের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের দামি তরলের বিকল্প তৈরি করেছেন তিনি। এভাবে নিজ পেশার মাধ্যমে সমাজের নিম্নআয়ের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের প্রতি মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার অনন্য নজির স্থাপন করে চলেছেন এই অধ্যাপক।

জানা যায়, এই হাসপাতালে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার প্যাকেজ মূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। এই সেবায় ১৫ দিনের প্যাকেজের মধ্যে আছে ২ জনের অস্ত্রোপচার খরচ (রোগী ও ডোনার), বেড ভাড়া ও ওষুধ খরচ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর চেয়ে কম খরচে দেশের বেসরকারি কোনো হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। পাশের দেশ ভারতেও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য খরচ হয় ১৫ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচও তুলনামূলক কম। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।