News update
  • BNP senses ‘dangerous conspiracy’ against democratic transition     |     
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     

২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের ১১ ভাগ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রোগবালাই 2025-09-28, 8:07pm

5t54345345-675a41f3ce276bdc02a5179f03a071751759068470.jpg




বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী ষষ্ঠ ‘স্বাস্থ্য ও কৃষিতে জৈবপ্রযুক্তি’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরেন গবেষকরা।

শেকৃবি ও গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশী বায়োটেকনোলজিস্টস (জিএনওবিবি)-এর যৌথ আয়োজনে ‘টেকসই স্বাস্থ্য ও কৃষির জন্য পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ স্লোগানে এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সায়েন্টিফিক সেশনে ডা. তাসনিম আরা ক্যান্সারের মূলে থাকা জেনেটিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেন, যা কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটায়। তিনি নির্ভুল অনকোলজি ও ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নাদিম মাহমুদ ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয়ে যুগান্তকারী লিকুইড বায়োপসি পদ্ধতি নিয়ে আশার কথা শোনান।

তিনি বলেন, রক্ত বা মূত্র থেকে ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম এই পরীক্ষাটি মূত্রথলি ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রচলিত ও অস্বস্তিকর সিস্টোস্কোপি পদ্ধতির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।

সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণু (এএমআর) বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যাকটেরিয়াফেজ উৎপন্ন এন্ডোলাইসিনকে প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এন্ডোলাইসিনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—এটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করে, দ্রুত জীবাণু ধ্বংস করে এবং জীবাণুতে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আলিমুল ইসলামও বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে এএমআর-এর উদ্বেগজনক মাত্রার কথা উল্লেখ করেন। এটি মোকাবিলায় উন্নত ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি, বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন তিনি।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আনোয়ারুল আবেদীন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট কৃষিখাতের ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নিয়ে প্রবন্ধে তিনি বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে খরা এবং উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার বৃদ্ধি কৃষি উৎপাদনশীলতা ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। এই দুই ধরনের চাপ ভবিষ্যতে আরো তীব্র হবে, তাই টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে খরা ও লবণাক্ততা সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা জরুরি।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সিআর আবরার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা প্রতিভাবান হলেও সেকেলে পাঠ্যক্রম, উন্নত ল্যাব, বায়োইনফরমেটিকস, ন্যানোটেকনোলজি ও এআই-এর মতো প্রযুক্তির অপ্রতুলতার কারণে তারা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তিনি জোর দেন যে, একটি ‘ডিপ-টেক’ জাতি হতে হলে মানবসম্পদ ও অবকাঠামো উভয় ক্ষেত্রেই সরকারকে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।আরটিভি