News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

বিশ্বের সব ভাষার অধিকার আর অর্জনে অনুপ্রেরণার নাম একুশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক শিল্প-কারুশিল্প 2025-02-21, 10:14am

8fa678bb3d132b7324d508b2d9d5ea3072466ea778b1eeb9-96b1f1ad9422620058eacfe8fa9c47de1740111283.jpg




১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, সেদিনও শীতের শেষে কৃষ্ণচূড়ারা ছড়িয়ে ছিল পথে পথে। ফাগুনের আগুনরাঙা রঙ, বাতাসে নতুনের আগমনের ঘ্রাণ। এরই মাঝে একদল তরুণের দৃপ্ত পদচারণায় মুখর হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

তাদের কণ্ঠে ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে জীবনবাজী রাখা উচ্চারণ। মায়ের ভাষায় কথা বলার ন্যায্য দাবি মেনে নেয়নি তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী। অতর্কিতে গর্জে ওঠা অস্ত্রে দিনের আলোতে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন রফিক, শফিক, সালাম, বরকতসহ নাম না জানা অনেকে। তাদের রক্তের বিনিময়ে তৈরি হয় নতুন এক ইতিহাস, একুশ।

ভাষা নিয়ে কেন তরুণদের এই জীবনবাজি রাখা সংগ্রাম? তার জন্য ফিরে যেতে হবে আরো চার বছর আগে। ১৯৪৭ সালে নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের জন্মের পরই আসে উর্দু আর বাংলা ভাষার বিতর্ক। বহু জাতি নিয়ে গড়ে ওঠা পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষের ভাষা বাংলা হলেও, ছয় শতাংশের ভাষা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার পাঁয়তারা করে শাসকগোষ্ঠী।

প্রথমে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এ বিতর্ক সীমাবদ্ধ থাকলেও, তা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। ‌‘৪৭ এর পহেলা অক্টোবরে গঠিত হয়েছিল ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’।

বাঙালি প্রথম ক্ষোভে ফেটে পড়ে ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর বক্তব্যে। উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, এমন মন্তব্যে রাস্তায় নেমে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তিন বছর ধরে চলা এ আন্দোলন বেগবান হতে হতে ৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে সন্তানের রঙে রঞ্জিত হয় বাংলার মাটি।

একুশ শুধু পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম তেজদীপ্ত আন্দোলন নয়, এখানেই স্বাধীনতার বীজ বপন হয়েছিল। যার পথ ধরে ১৯৭১ সালে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আসে লাল সবুজের পতাকা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র।

৪৭ বছর পরে, ভাষার প্রতি আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে, একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

বাংলা ভাষা শুধু কিছু অক্ষর আর শব্দ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মায়ের ভাষায় উচ্চারণের আবেগ আর বিসর্জনের রক্ত। একুশ তাই শুধু বাংলা নয়, সব ভাষাভাষীর অধিকারের আদায়ের প্রতিকৃতি। মায়ের ভাষার সম্মানের জন্য যে অগ্রজরা ইতিহাস তৈরি করে গেছেন, তাদের জন্য প্রতি বছর আমরা গাই , ‘‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’’। 

করুণ এই গানে গানে ফুল হাতে ভাষাশহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ছুটে এসেছেন সব ধরনের মানুষ। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে ভাষা শহীদদের। যারা জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করে গেছেন বাঙালির মাতৃভাষা বাংলাকে। তথ্য সূত্র সময়।