সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পিটার হাসকে চিঠি পাঠিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে এডিটর্স গিল্ড বাংলাদেশ। এবার এডিটর্স গিল্ডের সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) পিটার হাস সেই চিঠির উত্তর দেন। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এডিটর্স গিল্ড মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে তার বক্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি পাঠায়।
এডিটর্স গিল্ডকে চিঠি দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার এবং বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনও সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো দেশ যখন গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয়, যদি পদক্ষেপগুলো গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সরকার যখন তাদের রিসোর্স এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট সংযোগকে সীমাবদ্ধ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করবে, তখন আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করবো।
পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও কথা বলবো এবং ভিসানীতি প্রয়োগ করবো।
চিঠির কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিটর্স গিল্ড জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এবং তাদের রাষ্ট্রদূতের অবস্থানের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চায় বাংলাদেশ। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে সুপরিচিত। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।