News update
  • Stocks fail to recover despite slight gains in Dhaka, Ctg     |     
  • BB Purchases $353m in Dollar Auction to Stabilise Taka     |     
  • Promoting social inclusion of disabled persons thru empowerment     |     
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     

‘ভোটে বাধা ও দিতে বাধ্য করা দুটিই মানবাধিকার লঙ্ঘন’

গ্রীণওয়াচ ডেক্স সংগঠন সংবাদ 2023-12-28, 4:13pm

img_20231228_161356-a9ba094eac65da02c6a666ad47324d151703758463.jpg




জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কেউ যদি ভোট দিতে চায় তাকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। আবার ভোট দিতে বাধ্য করার অধিকারও কারো নেই।ভোটে বাধা ও ভোট দিতে বাধ্য করা দুটিই মানবাধিকার লঙ্ঘন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

১৭টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, তাহলে এটি কি নিরপেক্ষ থাকলো এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন করতে হয়। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবেন বা না করবেন। প্রত্যেকেরই অধিকার রয়েছে নির্বাচন করা এবং নির্বাচিত হওয়া। কেউ যদি নির্বাচন না করতে চান তাহলে তিনি অধিকারটি রাখলেন না।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার ব্যাপার বোধ হয় কোনো সংঘাত সৃষ্টি করে না। কারণ কারও ইচ্ছা হলো নির্বাচন করলেন না, তিনি না-ই করতে পারেন। তবে আহ্বান জানানো একান্তই উচিত। আহ্বান জানানো হয়েছে বলেই আমরা জানি। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ না-ই এসে থাকে তাহলে কি করা যাবে বলেন।

তিনি আরও বলেন, সবাইকে ভোটে আনতে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়িত্ব ছিল না বলে আমি মনে করি। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা তাদের নিজের ব্যাপার। আর সরকারের ছিল কিনা আপনারা সবাই জানেন। সরকার চেষ্টা করেছে কিনা সেটাও জানেন। কতটুকু কী হয়েছে সেটাও জানেন। যদি চেষ্টা করা হয়ে থাকে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হবে। কেউ যদি না এসে থাকে এটা তার নিজস্ব অধিকার।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ভোট দেওয়া এবং ভোট অংশগ্রহণ করা একটি অধিকার। ভোট না দেওয়া এবং ভোটে অংশগ্রহণ না করাও একটা অধিকার।

কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো কোনো দেশে সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে ভোট দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো নিয়ম নেই। আমি বলব ভোট যদি কেউ না দিতে চায় তাহলে সেটা তার ইচ্ছা। এটা সত্য কেউ যদি ভোট দিতে চায় তাকে বাধা প্রদান করা অনুচিত। এটা আইনের বরখেলাপ। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।

তিনি আরও বলেন, কোনো পক্ষালম্বনের প্রশ্নই ওঠে না। আমি যদি বলবো কেউ যদি ভোট দিতে চায় তাকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই। কেউ যদি ভোট দিতে না চায় তাকে বাধ্য করা হয় সেটাও আচরণবিধি লঙ্ঘন। কেউ যদি ভোট দিতে না চায় তাকে যদি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় সেটাও লঙ্ঘন। আমরা এ বিষয়ে নজর রাখছি।

বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।