News update
  • CA urges united efforts to stop food contamination voicing concern     |     
  • Tarique obliquely slams Jamaat for ‘propaganda’ against BNP echoing AL     |     
  • Medical team hopeful about Khaleda’s recovery in Bangladesh     |     
  • Beanibazar green cover shrinks, migratory birds disappear     |     
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২ দাবি না মানলে কলম বিরতির হুঁশিয়ারি বিচারকদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-11-14, 2:58pm

dfgrtrtwerwe-70e012ce3e547969d5505cb39baa9d371763110707.jpg




পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিযুক্তসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। দাবি বাস্তবায়ন না হলে কলম বিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের সই করা বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে আরেকটি দাবির বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহীর ঘটনায় বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবহেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং গ্রেপ্তার করা আসামিকে আইন বহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে অপেশাদারিত্ব প্রদর্শনের দায়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী রোববার (১৬ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে কলম বিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

রাজশাহীতে বিচারকের ছেলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েশন বলছে, রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসভবনে দুর্বৃত্তের নৃশংস ছুরিকাঘাতে ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন নিহত এবং স্ত্রী তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশন নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

প্রকাশ্যে বিচারক পরিবারে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো বিচার বিভাগ আজ স্তম্ভিত ও বাকরুদ্ধ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারাদেশের বিচারকেরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের প্রত্যেক আদালত, ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন ও গাড়িতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার চিঠি দেয়া হয়। এরপরও সরকার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। বিচার বিভাগের সদস্যরা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও তারা ও তাদের পরিবার অরক্ষিত এবং নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের প্রত্যেক বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরো শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়, রিকশা-ভ্যানে করে এমনকি পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়। বিচার বিভাগের প্রতি এই উদাসীনতা ও চরম গাফিলতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেআ মরা সোচ্চার থাকলেও রাষ্ট্র কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। পরিণতিতে আজ বিচারক পরিবারে এ করুণ বিপর্যয় নেমে আসে। রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় বিচারকেরা সর্বদা নিয়োজিত থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এই রক্তের দায় কোনোভাবে এড়ানোর সুযোগ নেই।