News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২১ জনের মৃত্যু; রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ জেলেনস্কির

সংঘাত 2022-07-02, 12:47pm




ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির দক্ষিণের একটি পর্যটন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামালায় ২১ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হওয়ার ঘটনায় রাশিয়াকে দায়ী করেছেন এবং দেশটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ‘সন্ত্রাসে’ জড়িত থাকার   অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে তার নিয়মিত ভাষণে তিনি এ অভিযোগ করেন।  

কৃষ্ণ সাগর উপকূলে ওডেসা বন্দর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দক্ষিণে সের্গিয়েভকা শহরে একটি আবাসিক ভবন এবং একটি বিনোদন কেন্দ্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এই এলাকা একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টে পরিণত হয়েছে।

মস্কোর আগ্রাসনে কৌশলগত একটি দ্বীপ থেকে রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার একদিন পর এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।

জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশে তার প্রতিদিনের নিয়মিত ভাষণে বলেন, হামলায় ২১ জন নিহত, ৪০ জন আহত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।  

জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি রাশিয়ার ইচ্ছাকৃত উদ্দেশ্যমূলক একটি সন্ত্রাসী কাজ এবং কোন ধরণের ভুল বা দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়।’

তিনি বলেন, ‘তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়তলা আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছিল, সেখানে কেউ কোন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখেনি। সেখানে নিয়মিত বেসামরিক লোকরা বাস করতো।’

ওডেসা জেলার ডেপুটি প্রধান সের্গেই ব্রাচুক ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে বলেছেন, বিমানগুলো কৃষ্ণ সাগর থেকে উড়ে এসে হামলা চালায় এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারী ও শক্তিশালী ছিল।’

জার্মানি এই হামলার পরপরই এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রেইট বলেছেন, ‘রাশিয়ান আগ্রাসী বাহিনী নিষ্ঠুরভাবে বেসামরিক লোকদের হত্যা করছে এবং একইভাবে যে ধ্বংসযঞ্জ চালাচ্ছে তা অমানবিক এবং নিন্দনীয়।’

এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে রাশিয়ার হামলায় মধ্য ইউক্রেনের ক্রেমেনচুকে একটি শপিং সেন্টার ধ্বংস হলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়, যা বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি করে।  

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই হামলার দায় স্বীকার করেননি এবং ওডেসায় হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করেননি। তথ্য সূত্র বাসস।