এক দফা হামলা চালানোর পর শনিবার আবারও ইয়েমেনের একটি হুথি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে কর্মকর্তারা জানান, তারা বৃহস্পতিবারের রাতের সেই প্রাথমিক হামলার ক্ষয়ক্ষতিতে সন্তুষ্ট নন।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড বলছে, তারা ইউএসএস কার্নি নামের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার জাহাজ থেকে পরবর্তী হামলাটি চালিয়েছে। সমুদ্রপথে নৌচলাচলের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী একটি রাডার অবস্থানের উদ্দেশ্যে রণতরী থেকে বেশ কয়েকটি টোমাহক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সামরিক বাহিনী ইয়েমেনে হুথিদের অবস্থানের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন হামলা চালানোর এক দিনের অল্প কিছু সময় পর সর্বসাম্প্রতিক হামলাটি পরিচালনা করা হয়েছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে হুথিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে হামলা চালিয়ে নৌচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় এসব আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার দিনের শুরুতে হুথি বিদ্রোহীরা একটি জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলেও তা কোনো জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের কর্মকর্তারা শুক্রবার প্রথমবার হামলার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখান। তারা বৃহস্পতিবারে দুই পর্যায়ে পরিচালিত এই হামলাকে সফল বলে আখ্যায়িত করেন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানান, তাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে এ রকম আভাস পাওয়া যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রথম দফার হামলায় হুথিদের পরবর্তী হামলা চালানোর সক্ষমতার ক্ষয় ঘটিয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট স্টাফ পরিচালক জেনারেল ডগলাস সিমস বলেন, “লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু এ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে আমাদের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই”।
তবে সিমস শুক্রবার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন প্রাথমিক হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরও ১২টি অবস্থানে দ্বিতীয় ধাপের হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, সব মিলিয়ে ১৫০টিরও বেশি সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হুথি লক্ষ্যবস্তুতে ছোঁড়া হয়, যার মধ্যে আছে টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউস ব্যুরো চিফ প্যাটসি উইদাকুসওয়ারা ও জাতিসংঘ প্রতিনিধি মারগারেট বশির এই প্রতিবেদন তৈরিতে কাজ করেছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা