News update
  • Passenger bus in northern India catches fire: 20 people burn to death     |     
  • Voting start in Ctg Varsity Central Students Union elections      |     
  • Death toll in Mirpur factory, chemical godown fire rises to 16     |     
  • Humanitarians Urge Donors as Global Aid Remains Severely Short     |     
  • Sami’s five-for 33 seals Afghanistan’s 200-run rout of Bangladesh     |     

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল ঘোষণা, সরকার গঠন করছে যারা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-02-11, 3:01pm

roitew9r-2f5bc9301bd588c16936dfdd21a8b61c1707642088.jpg




অবশেষে পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের দুদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশটির সবকটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

ইসিপি ঘোষিত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। মোট ২৬৪টি আসনের মধ্যে ১০১টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন তারা। এরপরেই ৭৫টি আসন পেয়েছেন আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। এরও প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু করে ইসিপি।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এবার জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪টি আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪টি আসন। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ১০১টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৪ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দলটি। এ জন্য পিটিআইয়ের আর মাত্র ৩৩টি আসন দরকার।

পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবে। জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন- তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

পিটিআই সমর্থিতদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও নওয়াজ শরিফ বলছেন, এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন)। তিনি আশা করেছেন, এ কারণে অন্যরা তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করবেন।

এবারের নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন তাদের জোট গঠন করতে হবে। তবে কোন দলের নেতৃত্ব জোট গঠিত হবে—এবং সর্বোচ্চ আসনে জয় পাওয়া ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে জোট হবে কি না, সেটি এখন দেখার বিষয়।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইমরান পন্থিদের সরকার গঠন আটকাতে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে রাজি হয়েছে নওয়াজ ও বিলওয়াল ভুট্টোর দল। পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট ও নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ বিলওয়াল ভু্ট্টো ও তার বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বাসায় পাকিস্তান পিপলস পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শাহবাজ শরিফ। এ সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন (এমডব্লিউএম) নামে একটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার বিধান থাকায় তারা এ দলে যোগ দিচ্ছেন।

শোনা যাচ্ছে, বিজয়ী ইমরানপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এমডব্লিউএমের ছাতার নিচে জড়ো হয়ে সরকার গঠন করতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন।