ইসরাইলের বিমান আক্রমণে নিহত ছয় জন বিদেশী ত্রাণকর্মীর মরদেহ বুধবার মিশরে নিয়ে যা্ওয়া হয় , সেখান থেকে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হবে। এ দিকে এই মত্যুর জন্য ইসরাইল ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক খাদ্য দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের মোট সাতজন কর্মী সোমবার দিনের শেষে বিমান আক্রমণে নিহত হন। জাতিসংঘের মহাসচিব এই ঘটনাকে “ বিবেকবিহীন”এবং “ যে ভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করা হচ্ছে তার অবশ্যম্ভাবী ফল”বলে উল্লেখ করেন।
তিন জন ব্রিটিশ , একজন পোলিশ, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের এবং একজন কানাডিয়ান-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাদের নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। ঐ আক্রমণে তাদের ফিলিস্তিনি গাড়ি চালকও নিহত হয় এবং তার মরদেহ দাফনের জন্য গাজায় তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই সাতজন ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের কাছে খাদ্য বিতরণ করছিলেন যা নতুন প্রতিষ্ঠিত সামুদ্রিক করিডোর দিয়ে গাজায় নিয়ে আসা হয়।সেই সময়ে ইসরাইলের বিমান আক্রমণ এই তিনটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আঘাত হানে এবং এতে গাড়ির ভেতরে থাকা সকলেই নিহত হন।
ইসরাইলের সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান হারজি হালেভি এই হামলাকে “ মারাত্মক ভুল” বলে অভিহিত করেন এবং এর জন্য তিনি রাতের বেলায় , “সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে না পারা”র কথা বলেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন. “আমরা দুঃখীত ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সদস্যদের এই অনিচ্ছাকৃত ক্ষতির জন্য”।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সংকল্প ব্যক্ত করেন যে এই “ বিয়োগান্তক ঘটনার” তদন্ত করা হবে “শেষ অবধি” এবং প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ তাঁর “ গভীর দুঃখ ও আন্তরিক ক্ষমা” প্রকাশ করেন। ভয়েস অফ আমেরিকা।