News update
  • Election delay anti-democratic, against July-August spirit      |     
  • Bodies of 3 students recovered from two rivers in Rangpur     |     
  • BRICS Summit Opens Amid Tensions, Trump Tariff Fears     |     
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     

গাজার যুদ্ধ আর যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণের মধ্যেই নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2024-07-24, 12:01am

dfafaf-ea21d64843fb9644488e10c1ac6e6b521721757707.jpg




ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার বিকালে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ময়দান থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেকে প্রত্যাহার করার একদিন পর তিনি হাজির হলেন। গাজা যুদ্ধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ককে অনিশ্চয়তার অন্য এক মাত্রার দিকে ঠেলে দিয়েছে বাইডেনের আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত।

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছাড়াই জুন মাসে নেতানিয়াহু যখন যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঘোষণা করেছিলেন তখন অনেকে এই সফরের সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বর্তমানে আমেরিকার রাজনীতিতে পালাবদলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি নেতার লক্ষ্য হল, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রশাসনের কাছে নিজেদের ভিত্তিকে প্রশস্ত করা।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেন ও নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার ওয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েল ছাড়ার সময় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, “আমি দুই দলেরই সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করব যা ইসরায়েলের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি উভয়পক্ষে আমার বন্ধুদের বলব, আমেরিকার জনগণ তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাকেই নির্বাচন করুক না কেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার অপরিহার্য ও জোরালো মিত্র হয়েই থাকবে।”

ইসরায়েলের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান জোনাথন রাইনহোল্ড বলেন, ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্সিয়াল নমিনি তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্ভাব্য লড়াইয়ে নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে নিরপেক্ষ অবস্থান নিচ্ছেন বলে মনে হলেও তিনি কাকে সমর্থন করছেন বা চাইছেন তা নিয়ে একটু সংশয় রয়েছে।

তিনি ভিওএ-কে বলেন, “সাধারণভাবে রিপাবলিকানরা ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মসূচিকে বেশিই সমর্থন করেন। ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থী সরকার ও ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের নীতির প্রতি তারা বেশি সহানুভূতিশীল।”

মিডল ইস্ট ইন্সটিটিউটের ইসরায়েলি অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক সিনিয়র গবেষক নিমরোদ গরেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ করছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, এমন দাবিকে নস্যাৎ করতেই তার এই উদ্যোগ।

২০২০ সালে বাইডেন নির্বাচনে জয়ী হলে নেতানিয়াহু যখন তাকে শুভেচ্ছা জানান তখন ট্রাম্প তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে “শান্তিতে ফিরতে ও মানুষকে হত্যা বন্ধ করতে” সতর্কও করেছেন।

নেতানিয়াহু সাক্ষাতের জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের প্রচারণা বিভাগকে ভিওএ প্রশ্ন করলেও তারা জবাব দেয়নি।

হ্যারিসের সহযোগী ভিওএ-কে বলেছেন, চলতি সপ্তাহে হ্যারিস ওয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত সাক্ষাৎ থেকে এটি আলাদা। ওই সহযোগী আরও বলেন, “ভাইস প্রেসিডেন্ট তার গোটা কর্মজীবনে ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি অনড় দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন।”

হ্যারিসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ ও মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। তার স্বামী তথা সেকেন্ড জেন্টলম্যান ডাও এমহফ ইহুদি এবং ইহুদি-বিদ্বেষ মোকাবেলায় প্রশাসনের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

গরেন বলেন, ইসরায়েলের নেসেটে তিন মাসের বিরতি আসতে চলেছে। ঘরোয়া রাজনৈতিক বিষয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই নেতানিয়াহুর লক্ষ্য এবং সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। ভিওএ