News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

লেবাননে নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৭০০

আল জাজিরা সংঘাত 2024-09-27, 8:58am

rrtretreter-4be850393015b0ed8cb9f6d410c5442e1727405885.jpg




পূর্ণশক্তিতে লেবাননজুড়ে চলছে ইসরায়েলের তাণ্ডব। গত সোমবার থেকে ক্রমাগত হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে ইতোমধ্যে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯২ জন নিহত হয়েছেন বলে লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলার কারণে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এখন বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, ইসরাইলি ভূখণ্ডে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের কিরায়াত আতা ও সাফেদ এলাকা লক্ষ্য করে ১৩০টি রকেট ছুঁড়ে হিজবুল্লাহ।

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গত এক বছর ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা হামাসের সমর্থনে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তা থামাবে না। দুটি সংগঠনই ইরান সমর্থিত। ইসরায়েল, যুক্তরাজ্যসহ আরও অনেক দেশ তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।

সম্প্রতি গাজা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে নজর ফেরানোর কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। এরপর যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ভিত নাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ওই ঘটনাকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের হামলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।

এরই মধ্যে গত সোমবার থেকে গোটা লেবাননজুড়ে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সবচেয়ে বেশি হামলা হয় হিজবুল্লাহ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে।

লেবাননের গণমাধ্যম বলছে, স্থানীয় সময় গত সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ইসরায়েলের বিমান হামলার প্রথম ঢেউ শুরু হয়। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের সিডন, মারজেয়ুন, নাবাটিয়ে, বিনত জেবেইল, জেজ্জিন ও জাহরানি এবং পূর্বাঞ্চলীয় বেক্কা উপত্যকার জাহলে, বালবেক ও হারমাল জেলার কয়েক ডজন শহর, গ্রাম ও খোলা জায়গাকে লক্ষ্য করে দিনভর হামলা চালায় ইসরায়েল। দখলদার দেশটির হামলায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। এর মধ্যে গত সোমবার একদিনেই নিহত হয়েছেন ৪৯২ জন।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলার জের ধরে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের এই অপরাধের জবাবে ইরান নিশ্চুপ থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচাই।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ১২টি দেশ হিজবুল্লাহর সঙ্গে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল। উল্টো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সামরিক বাহিনীকে সর্বশক্তি দিয়ে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।