News update
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     
  • WHO warns of severe disruptions to health services for funding cuts     |     
  • ICJ hears Sudan’s case accusing UAE of ‘complicity in genocide’     |     
  • Bombardment, deprivation and displacement continue in Gaza     |     
  • Aged and Alone: The hidden pains in old age homes     |     

ডিআর কঙ্গোতে ১৩ বিদেশি শান্তিরক্ষীকে হত্যা করলো এম ২৩ বিদ্রোহীরা

বিবিসি বাংলা সংঘাত 2025-01-26, 2:15pm

ewrewrwer-ce786a34632e051a25f80d04c67389221737879310.jpg




আফ্রিকার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো বা ডিআর কঙ্গোতে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত ১৩ জন বিদেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে তারা নিহত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে এর মধ্যে তাদের নয় জন সৈনিক রয়েছে। তারা ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরের দিকে বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছিলো। নিহতদের মধ্যে অন্য দুজন মালাউইয়ের তিন জন আর উরুগুয়ের ১ জন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ বলেছেন তিনি ডিআর কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। বিশ্ব নেতারাও এর মধ্যে সহিংসতার অবসানের আহবান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ গোমায় থাকা তাদের জরুরি না এমন সব কর্মকর্তাকে সরিয়ে আসছে। শহরটিতে প্রায় দশ লাখ লোকের বাস। তবে সেখানে লড়াই জোরদার হচ্ছে।

ভয়াবহ সংঘর্ষ এবং সংঘাত আরও বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভা সোমবারের সভাটি রোববার পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে।

এম২৩ গোষ্ঠীটি রক্তপাত এড়াতে গোমায় থাকা কঙ্গোর সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়েছে।

প্রতিবেশী রুয়ান্ডার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও ডিআর কঙ্গো বিদ্রোহের জন্য রুয়ান্ডাকেই দায়ী করে আসছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফ্রন্টলাইন পরিদর্শনের সময় কঙ্গোর মিলিটারি গভর্নরকে হত্যা করে এম-২৩ যোদ্ধারা।

গত জানুয়ারিতে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর মিনোভা ও মাসিসি দখল করে নিয়েছিলো।

ওদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে আলাপের সময় লড়াই বন্ধ করার আহবান জানিয়েছেন বলে তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

অন্যদিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস আর অগ্রসর না হওয়ার জন্য এম-২৩ এর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি এই গোষ্ঠীটিকে রুয়ান্ডার সমর্থন দেয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপি এক খবরে জানিয়েছে।

একই ধরনের নিন্দা জানিয়েছে অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট জোয়াও লরেন্সো। তিনি রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর মধ্যে আফ্রিকান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করছেন।

তিনি এম-২৩ ও তার সমর্থকদের 'দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের' তীব্র সমালোচনা করেছেন। একই সাথে অবিলম্বে লড়াই বন্ধ করে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষার আহবান জানিয়েছেন বলে এএফপি জানিয়েছে।

এম-২৩ ও ডিআর কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই জোরদার হয়েছিলো চলতি বছরের শুরু থেকেই। বিদ্রোহীরা দেশের বেশ কিছু নতুন করে দখল করেছে।

জাতিসংঘের হিসেবে এই সংঘাতের কারণে ইতোমধ্যেই প্রায় চার লাখেরও বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

স্থানীয় নেতারা গত সপ্তাহে জানিয়েছে দুশোর বেশি বেসামরিক নাগরিক এম-২৩ অধিকৃত এলাকায় নিহত হয়েছে। এছাড়া গোমার হাসপাতালে শত শত মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে।

গোমার অ্যাংলিকান বিশপ মার্টিন গর্ডন বিবিসিকে বলেছেন দেশটিতে লড়াই চলছে অনেক দিন ধরে এবং মানুষ শান্তির জন্য যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত।

গত কয়েকদিনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের গোমা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। এই মানবাধিকার সংস্থাটি বিবদমান দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে চলমান এই সংঘাত ওই অঞ্চলে মানবিক সংকটের জন্ম দিবে।

এম-২৩ ডিআর কঙ্গোর খনিজ সমৃদ্ধ বিশাল এলাকায় ২০২১ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে।

জাতিসংঘ ও ডিআর কঙ্গো বলছে এম২৩ কে সমর্থন যোগাচ্ছে রুয়ান্ডা। রুয়ান্ডা কর্তৃপক্ষ এটি স্বীকার বা প্রত্যাখ্যান কোনটাই করেনি।

এর আগে রুয়ান্ডা বলেছিলো ডিআর কঙ্গো কর্তৃপক্ষ ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তির সাথে একযোগে কাজ করছে।

২০১২ সালে বিদ্রোহী গ্রুপ এম-২৩ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো এবং তারা তখন তুতসি জনগোষ্ঠীর মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার কথা বলেছিলো।

অন্যদিকে রুয়ান্ডার সমালোচকরা বলছে রুয়ান্ডা এম-২৩কে ব্যবহার করছে ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল থেকে সোনাসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ লুটপাটের জন্য।