News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সেরা ১০ চলচ্চিত্র

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সিনেমা 2024-11-01, 6:22pm

nirbaacn-seraa-10-sinemaa-5a7b614414a0d8c962ced496d971f8601730463726.jpg




হোয়াইট হাউসের দৌড়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। ৫ নভেম্বরের ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস শেষ হাসি হাসবেন, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টানটান উত্তেজনা নিয়ে ইতোমধ্যে হলিউডে বেশকিছু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উন্মাদনায় মাততে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে দেখতে পারেন ওয়াগ দ্য ডগ থেকে শুরু করে অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স ম্যানের মতো সিনেমাগুলো।

১. প্রাইমারি কালার’স (Primary Colors)

মাইক নিকোলসের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রাইমারি কালার’স। চলচ্চিত্রটির অনবদ্য চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন ইলেইন মে। স্যাটায়ার গল্পে নির্মিত এই ছবিতে প্রাইমারির মাধ্যমে বিল ক্লিনটনের হোয়াইট হাউসের যাত্রা চিত্রিত করা হয়েছে। এতে গভর্নর জ্যাক স্ট্যান্টন হিসেবে অভিনয় করেন জন ট্রাভোল্টা। তার স্ত্রী সুসানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমা থম্পসন। ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক জো ক্লেইনের উপন্যাস “প্রাইমারি কালার’স অ্যা নোবেল অব পলিটিকস’ ওপর ভিত্তি করে এই কমেডি-ড্রামা ঘরনার চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে। জো ক্লেইন সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের হয়ে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ১৯৯২ সালের নির্বাচনি প্রচারণা কাভার করেছিলেন।

২. অল দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যান (All the President's Men)

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে দুর্দান্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স ম্যান। এ সিনেমার গল্পে অন্যতম আধেয় হয়ে উঠেছে সাংবাদিকতা। তবে এতে দেখতে পাবেন রাজনীতিতে কতটা নোংরা প্রচারণার ঘটনা ঘটে।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টেইনের ভূমিকায় অভিনয় করেন রবার্ট রেডফোর্ড ও ডাস্টিন হফম্যান। তারা ওয়াটারগেট ব্রেক-ইনের ঘটনা খুঁজে বের করেন, যা পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে পদত্যাগে বাধ্য করে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন এলেন জে পাকুলা।

৩. ওয়াগ দ্য ডগ (Wag the Dog) 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে ১৯৯০-এর এই স্যাটায়ার সিনেমাটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ সিনেমায় দেখা যায়, নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে একজন তরুণীর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের তথ্য প্রকাশ্যে এলে একজন প্রচার পরামর্শদাতাকে ডাকা হয়। এক্ষেত্রে কনরাড ব্রেন চরিত্রে অভিনয় করেন রবার্ট ডি নিরো। ব্রেন প্রচারাভিযানকে বাঁচাতে তার সহযোগী হিসেবে হলিউডের একজন প্রযোজককে নিয়োগ করেন। ডাস্টিন হফম্যান এ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই প্রযোজকের কাজ হলো আলবেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রমাণ হিসেবে কিছু তথ্যচিত্র ধারণ করা, যা আসলে ঘটেনি। এমনকি তারা এমন একজন যুদ্ধের নায়ককে খুঁজে পান, যে নায়ক ছিলেন না এবং তাকে সেলিব্রিটি করে তোলেন। প্রেসিডেন্টের যৌন কেলেঙ্কারি থেকে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার জন্যই এটি করা হয়। এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে ব্যারি লেভিনসন প্রযোজিত ও পরিচালিত ওয়াগ দ্য ডগ চলচ্চিত্রটি।

মজার ব্যাপার হলো ক্লিনটন-লেউইনস্কি কেলেঙ্কারি প্রকাশের মাত্র এক মাস আগে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। ক্লিনটন প্রেসিডেন্সি সত্যিই এই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি উপহার ছিল।

৪. দ্য ওয়ার রুম (The War Room)

ডি এ পেনেবেকার ও ক্রিস হেগেডাসের যুগান্তকারী ডকুমেন্টারিটি ১৯৯২ সালে প্রেসিডেন্ট পদে বিল ক্লিনটনের প্রথমবার দৌড়ের পর্দার পেছনের ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এটি যেন প্রাইমারি কালার’স সিনেমার বাস্তব সংস্করণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ক্লিনটনকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেখানো হয়। কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো হলো ক্লিনটনের কৌশল প্রণয়নকারী জেমস কারভিল ও যোগাযোগ পরিচালক জর্জ স্টেফানোপোলোস।

৫. দ্য বেস্ট ম্যান (The Best Man)

গোর ভিডালের চিত্রনাট্যে নির্মিত হয় দ্য বেস্ট ম্যান। ফ্র্যাঙ্কলিন জে শ্যাফনার পরিচালিত আমেরিকান রাজনৈতিক ড্রামা ঘরনার ছবিটিতে অভিনয় করেছেন হেনরি ফন্ডা, ক্লিফ রবার্টসন ও লি ট্রেসি। একটি দলের জাতীয় কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করেয়া হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই এ সিনেমার গল্প এগিয়েছে।

৬. স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন (State of the Union)

স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন মুভিটি ১৯৪৮ সালে মুক্তি পায়। আমেরিকান রাজনৈতিক অঙ্গনের গল্পে ড্রামা ঘরনার ছবিটি পরিচালনা করেন ফ্রাঙ্ক ক্যাপরা। এই ছবিতে এক ব্যক্তির রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আকাঙ্ক্ষা এবং তার চারপাশের লোকদের নানান কলাকৌশল চিত্রিত হয়েছে।

একজন সফল ব্যবসায়ী গ্রান্ট ম্যাথিউসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্পেন্সার ট্রেসি। তিনি মেরির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। মেরির ভূমিকায় অভিনয় করেন ক্যাথরিন হেপবার্ন। তবে ম্যাথিউস রাজনৈতিকভাবে উচ্চাভিলাষী একটি সংবাদপত্রের উত্তরাধিকারীর কে থর্নডাইকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। থর্নডাইকের ভূমিকায় অভিনয় করেন অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবারি। 

কে থর্নডাইক তার অর্থ ও প্রভাবকে হোয়াইট হাউসে গ্রান্টকে পৌঁছাতে ব্যবহার করতে চান, তবে এক্ষেত্রে মেরিকে তাদের অনুগত থাকতে হবে। তবে সিনেমায় মেরি একপর্যায়ে বুঝতে পারে যান, তাকে প্রচারাভিযানের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপরের ঘটনা জানতে দেখে নিতে পারেন সম্পূর্ণ মুভিটি। 

৭. দ্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট (The American President)

আপনি যদি রাজনৈতিক ঘরনার মুভি পছন্দ করেন, এটি হতে পারে সেরা পছন্দ। দ্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ছবিটি ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন রব রেইনার এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন অ্যারন সোরকিন।

ছবিতে মাইকেল ডগলাস ‘প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু শেফার্ড’ নামে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন বিধবা পরিবেশবিষয়ক লবিস্ট সিডনি এলেন ওয়েডের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন। এ চরিত্রে অভিনয় করেন অ্যানেট বেনিং। এলেন ওয়েড এমন এক সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে আসেন, যা ছিল পুনঃনির্বাচনের বছর আর সেসময় প্রেসিডেন্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিল পাস করার চেষ্টা করছিলেন।

৮. দ্য আইডস অব মার্চ (The Ides of March)

এ চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি অভিনয় ও পরিচালনা করেন জর্জ ক্লুনি। আমেরিকান রাজনৈতিক ড্রামা ঘরনার এ ছবিতে আরও অভিনয় করেন রায়ান গসলিং, ইভান রাচেল উড, মারিসা তোমেই ও ফিলিপ সেমুর হফম্যান। এটি উইলিমনের ২০০৮ সালে লেখা ফারাগুট নর্থ নাটকের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে।

৯. গেম চেঞ্জ (Game Change)

গেম চেঞ্জ হলো ২০১২ সালের আমেরিকান রাজনৈতিক ড্রামা ঘরনার টেলিভিশন চলচ্চিত্র। এতে ২০০৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জন ম্যাককেইনের প্রচারাভিযানের ঘটনাগুলো চিত্রিত হয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেন জে রোচ এবং এটির চিত্রনাট্য লেখেন ড্যানি স্ট্রং। সাংবাদিক মার্ক হ্যালপেরিন ও জন হেইলেম্যানের নির্বাচনি প্রচারণার নিয়ে ২০১০ সালে প্রকাশিত গেম চেঞ্জ শীর্ষক বইয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

জন ম্যাককেইনের প্রচারাভিযানে কীভাবে আলাস্কার গভর্নর সারাহ পলিনকে তার ২০০৮ সালের রানিং মেট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সেসব ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেখলে আপনার হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসতে পারে। এ সিনেমায় জন ম্যাককেইনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এড হ্যারিস, সারাহ পলিনের ভূমিকায় জুলিয়ান মুর এবং স্টিভ শ্মিটের ভূমিকায় ছিলেন উডি হ্যারেলসন। 

১০. হেড অব স্টেট (Head of State)

হেড অব স্টেট হলো ২০০৩ সালের আমেরিকান রাজনৈতিক কমেডি ঘরনার চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা, প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ক্রিস রক। সহ-অভিনেতা ছিলেন বার্নি ম্যাক, লিন হুইটফিল্ড, ডিলান বেকার ও রবিন গিভেন্সসহ অন্যান্যরা। এটি ক্রিস রক পরিচালিত প্রথম ছবি। তিনি এর আগে একজন লেখক, প্রযোজক ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন।

এই সিনেমায় দেখা যায় একজন নবীন রাজনীতিবিদ মেস গিলিয়াম অপ্রত্যাশিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন। যখন একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রচারণার মাঝপথে অপ্রত্যাশিতভাবে মারা যান, তখন ওয়াশিংটন ডিসি মেস গিলিয়ামকে তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এনটিভি নিউজ।