News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

হঠাৎ ছটফটানি-অস্বস্তি হয় কেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2024-08-11, 11:28am

fdggwertwer-e5ce2fea23657fab944e920bdacb544b1723354129.jpg




সবকাজ করছেন কিন্তু কোনো কাজে মন দিতে পারছেন না। সব কিছুতে একটা অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে। নিজের সংঙ্গে কি ঘটছে তার চেয়ে বড় কথা অস্বস্তির কারণটাই অজানা থাকে। শুধু অনুভব করা যায় কেমন একটা ছটফট লাগছে। আপাতত দৃষ্টিতে এমন কখনও হলে আমরা সেগুলোকে এড়িয়ে যায়। কখনও গুরুত্ব পর্যন্ত দেই না কিছু হয়নি ভেবেই।

তবে এগুলো কোনো সাধারণ কারণে নয় বরং জটিল কারণে হতে পারে। জেনে নিন কেনো এমনটা হয়।

অশান্তি লাগা, কাজে অনীহা, বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যথা করা, বুকে চাপবোধ করা, হঠাৎ খিঁচুনি, কিছু মনে করতে না পার, অল্পতেই বিরক্ত হওয়া, ঘুম না হওয়া, খাদ্যে অরুচি, অতিরিক্ত কথা বলা, বিড়বিড় করা, ছটফট করা, ইত্যাদি উপসর্গ মানসিক রোগের লক্ষণ।

এসব উপসর্গ মোটামুটি সারা পৃথিবীতেই এক। আবার গায়েবি আওয়াজ শোনা, মনে মনে কথা বলা, যৌনইচ্ছা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত যৌনইচ্ছা ইত্যাদি উপসর্গও বিভিন্ন মানসিক রোগের লক্ষণ ধরা হয়।

উপসর্গ অনুযায়ী মানসিক রোগ দু প্রকার হতে পারে। একটি মৃদু মানসিক রোগ ও অপরটি জটিল মানসিক রোগ।

অ্যাংজাইটি নিউরোসিস: দুশ্চিন্তাবোধ, হাত-পা কাঁপা, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া, বুকে চাপ লাগা, ঘন ঘন প্রসাব হওয়া, মাথাব্যথা হওয়া, হাত-পা কামড়ানো, ঘুম না হওয়া, ছটফট করা। ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে এই রোগের প্রকাশ পেতে পারে।

অহেতুক ভয় বা ফোবিয়া: অঝথা কোন বিষয়ে ভয়, মৃত্যু ভয়, পোকামাকড়ের ভায়, লোকসমাজে আসার ভয়, বক্তৃতা দিতে ভয় পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে এই রোগ প্রকাশ পায়।

অবসেশন: একই কাজ বারবার করা, একই চিন্তা বারবার করা, অনবরত হাত-পা ধোয়া, অতিরিক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা, সন্দেহবাতিকতা এবং মনের বিরুদ্ধে কথা বলা এই রোগের উপসর্গ।

হিস্টিরিয়া বা মূর্ছারোগ: কোনো সমস্যা ছাড়াই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, দাঁতে দাঁত লাগা, এলোমেলো কথা বলা, হঠাৎ চোখে না দেখা, হাত-আপ অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে এই রোগ প্রকাশ পায়।

সিজোফ্রেনিয়া: কানে গায়েবি আওয়াজ শোনা, একা একা কথা বলা, মনের কথা বাইরে প্রকাশ হয়ে যাওয়া, ঘরকুনো হয়ে থাকা, কাজ না করে অগোছালো থাকা, এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি উপসর্গ সিজোফ্রেনিয়া রোগে প্রকাশ পেতে পারে।

ম্যানিয়া: ঘন ঘন কথা বলা, অতিরিক্ত কথা বলা, অহেতুক আশ্বাস ও অহেতুক পরামর্শ দেয়া, একসাথে অনেক কাজ হাতে নেয়া, এসব ম্যানিয়া রোগের উপসর্গ।

ডিপ্রেশন: অশান্তি লাগা, কোনো কাজে মন না বসা, অহেতুক কান্নাকাটি করা, আত্মহত্যা করার প্রবণতা কিংবা আত্মহত্যা করা, কোনো কারণ ছাড়াই শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব করা। ঘুম না হওয়া, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া, ইত্যাদি উপসর্গের মাধ্যমে এই রোগ প্রকাশ পেতে পারে।  সময়