News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

সোমবার দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক হাসপাতাল 2025-02-24, 7:23am

rtert4523-a71f1a31ec3738d9542b44108bf416b11740360220.jpg




পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে সোমবার একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ডক্টর’স মুভমেন্ট ফর জাস্টিস। এছাড়া এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচিও পালন করবে সংগঠনটি।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংগঠনটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবেন না, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাসসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সোমবার দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) হাইকোর্টের উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হবে।  

এর আগে, দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। এবার সারাদেশে তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিলেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা।

এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের মতো রোববার ‘সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থী’র ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনেও বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। পরে ডক্টর'স মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের পক্ষ থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে পাঁচ দফা দাবি জানায়।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

০১. ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে স্বৈরাচারের প্রথম টার্মে প্রদান করা হয়।

০২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।

০৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসণে দ্রুত তম সময়ে শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

০৪. বেকার তৈরির কারখানা সকল ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। উল্লেখ্য এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাধায় ফেলে দেয়।

০৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি। আরটিভি