News update
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     
  • CPJ denounces Trump administration's action against AP     |     

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল, কারণ নিয়ে যা ভাবছেন তদন্তকারীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক error 2025-01-11, 10:04pm

img_20250111_220223-61ea92464ec43b953f866557c8ea26e21736611477.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দাবানলের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে গিয়ে যানজট, প্রকট ধোঁয়ায় শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসাসহ নানা জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ভয়াবহ এ ঘটনায় সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

ন্যাশনাল ফায়ার প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ হলো বজ্রপাত। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব দিক থেকে। সেখানকার প্যালিসেইডস এলাকা বা ইটনের দাবানলকবলিত এলাকার আশপাশে বজ্রপাত হয়েছে বলেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওই সব এলাকায় দাবানলে শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এরপর আরও দুটি সাধারণ কারণের প্রসঙ্গ চলে আসে। এর একটি হলো ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং বৈদ্যুতিক লাইনে স্ফুলিঙ্গ হওয়া।

১৯৯১ সালে অকল্যান্ড হিলসের দাবানলসহ ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় বড় দাবানলের ঘটনায় তদন্ত করার অভিজ্ঞতা আছে জন লেন্টিনির। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের সায়েন্টিফিক ফায়ার অ্যানালিসিসের স্বত্বাধিকারী তিনি। লেন্টিনি বলেন, দাবানলের আকার পরিবর্তন হলেই যে এর কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্তের ধরনে পরিবর্তন আনতে, হবে তা নয়।

লেন্টিনি আরও বলেন, ‘এটা একসময় ছোট আকারের দাবানল ছিল। কোথায় দাবানলের শুরুটা হয়েছে, দাবানলের উৎস কী, তা নির্ধারণ, উৎসের আশপাশ খতিয়ে দেখা এবং এর কারণ নির্ধারণের দিকে বেশি মনোযোগ দেবে মানুষ।’

এখন পর্যন্ত এই দাবানলের ঘটনায় অগ্নিসংযোগের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক লাইন থেকেও আগুন লাগার ইঙ্গিত মেলেনি।

ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশনের (সিপিইউসি) যোগাযোগ পরিচালক টেরি প্রসপার বলেন, দাবানলের ঘটনায় বৈদ্যুতিক কোনো কারণের যোগসূত্র থাকার আশঙ্কা করলে কর্তৃপক্ষকে ই–মেইলের মাধ্যমে কমিশনে জানাতে হয়। সিপিইউসির কর্মীরা তখন এ ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্য আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন।

এডিসন কর্তৃপক্ষ বলছে, বজ্রপাত, অগ্নিসংযোগ, বৈদ্যুতিক লাইন ছাড়াও অনেক সময় আবর্জনা পোড়ানো এবং আতশবাজি ফুটানো থেকেও দাবানলের সূত্রপাত হতে পারে। তা ছাড়া দুর্ঘটনায় অসংখ্য উৎস থেকেই আগুন ছড়াতে পারে।

বিবিসির খবরে জানা যায়, ২০২০ সালে এক দম্পতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজনে বেশি ধোঁয়া তৈরি করে—এমন বিশেষ ধরনের আতশবাজি পোড়াতে গেলে বড় আকারে দাবানল ছড়িয়েছিল। তখন প্রায় ৩৬ বর্গমাইল এলাকা পুড়ে গিয়েছিল। এতে ৫টি বাড়ি এবং আরও ১৫টি ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। এ ঘটনায় এক অগ্নিনির্বাপণকর্মী প্রাণ হারান।

ইটন ও প্যালিসেইডস এলাকার দাবানল এখনো জ্বলছে। শুক্রবার নাগাদ তা সামান্য নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বাতাসের বেগ কমেছে। তবে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। মাইলের পর মাইল শুকনা জায়গা পুড়িয়ে দিচ্ছে দাবানল। আবহাওয়ার বদল হলেই কেবল দাবানল থামতে পারে।