দশম দিনে এসে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাতাসের গতি কমতে থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে স্বস্তির খবর দিয়েছেন দমকলকর্মীরা। বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে স্তিমিত হয়ে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল। পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণের আশা দেখছেন দমকলকর্মীরা। আবহাওয়াবিদরাও দিয়েছেন ভালো খবর। বাতাসের গতিবেগ কমতে থাকায় আপাতত দাবানল ছড়ানোর শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী কয়েকদিন উপকূলীয় বাতাস অতিপ্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বয়ে আনবে এবং পরিস্থিতির বড় ধরনের উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস শহর অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবানল এখনো জ্বলছে এমন মূল এলাকাগুলোতে আগুন নেভানোর কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর দমকলকর্মীরা।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করায় নিজ বাড়ির খোঁজে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে পোড়া ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না। তাদের কান্না আর হাহাকারে ভারি হয়ে উঠছে পরিবেশ।
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কয়েকদিন ধরে নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশিরাও।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের মতো তীব্র গতির বাতাস ৭ জানুয়ারির দাবানলকে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন এলাকায়। ধ্বংসাত্মক এই দাবানলে হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ। পুড়ে গেছে ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও স্থাপনা। সব হারিয়ে গৃহহীন হয়েছেন অন্তত পৌনে এক লাখ বাসিন্দা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় লস অ্যাঞ্জেলেসের বিস্তীর্ণ এলাকা।