News update
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     
  • Remittance inflow exceeds $632 million in first six days of Dec     |     
  • 18 migrants die as inflatable boat sinks south of Greek island of Crete     |     
  • TIB for polls manifesto vows to curb misuse of powers and religion     |     
  • Khaleda now not fit for travelling: Medical Board     |     

কপ সম্মেলন থেকে কি খালি হাতে ফিরতে হবে বাংলাদেশকে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীববৈচিত্র 2025-11-16, 11:31am

trdtgfdgdfgsdf-01a575c25c004dc2e5620a1152109d901763271069.jpg




আমাজনের প্রবেশ দ্বার ব্রাজিলের বেলেমে আয়োজিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ষষ্ঠ দিন পার হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য নেই কোনো আশার বাণী। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে জাতীয় পরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি, যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এছাড়া একটি বৈশ্বিক অভিযোজন পরিকল্পনা এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে সুনির্দিষ্ট দাবি নিয়ে কাজ করছে প্রায় ৭৪টি দেশ।

বাংলাদেশ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, মৎস্য প্রাণিসম্পদ, পররাষ্ট্র, অর্থ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে জলবায়ুর প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর আর্থিক সুরক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বের যেসব উন্নত দেশগুলো রয়েছে, তাদের কাছে আমাদের ক্লেইম করা- জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমরা ঋণের বদলে আমরা গ্র্যান্ড চাই। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম একটা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এজন্য আমাদের এডাপটেশন সাইডেও ফান্ডিংয়ের জন্য ক্লেইম করা উচিত।’  

২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার বিষয়টি কোনো দয়া নয়, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, ‘প্যারিস সম্মেলনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা তারা লঙ্ঘন করেছে এবং ডিলিং প্রসেস করেছে। আমাদের উচিত হবে, এখন যে অর্থের দাবি করবো সেটা দয়া চেয়ে নয়, অধিকার হিসেবে।

সরকারের পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, উন্নত দেশগুলো ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায়, এবারের সম্মেলন থেকে ইতিবাচক ফল আসার সম্ভাবনা নেই।

জলবায়ু ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের জন্য সবাই মিলে যে তহবিল গঠন করা এবং তার মাধ্যমে বিশ্বকে গোড়ে তোলা, সেসই জায়গায় আসলে কেউ কমিটমেন্টগুলো ওইভাবে রাখছে না। এই কারণে যে ফলাফলের কথা বলি, সেগুলো আমরা দেখতে পাই না।’  

এদিকে, বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পের কারণে আমাজন রেইনফরেস্ট ও ভূমি ধ্বংস হচ্ছে দাবি করে জলবায়ু সম্মেলনের ৬ষ্ঠ দিনেও মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আদিবাসী সম্প্রদায়।