BCL leaders of Prime Asia University are not ADSM leaders.
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা ভোল পাল্টে মুখ্য সংগঠক, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক ও সংগঠক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল নেতারা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হোসাইন,শেখ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ সাইফ,ফাহিম ভূঁইয়া, এম এম মারুফ আহমেদ ও দিগন্ত দাশ গুপ্ত।
ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীরা কিভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হাসিবুল হোসাইন,শেখ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ সাইফ,ফাহিম ভূঁইয়া, এম এম মারুফ আহমেদ ও দিগন্ত দাশ গুপ্ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত। নেতা হওয়ার পর থেকে তারা ছাত্রলীগের বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি ভোল পাল্টে ফেলেন। কৌশলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
তাছাড়াও রেমন খান, মুহসাসিম ফুয়াদ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলো যারা এখন মুখোশ পাল্টে প্রাইমেশিয়ার বিওটি অপসারণের আন্দোলনে অংশ নেয়। পরে বিশ্ববিদায়লয়ের সাথে বেইমানি করে তারা অবৈধ বিওটি চেয়ারম্যান নজরুলের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। এরা সকলেই বিভিন্নভাবে কোটা আন্দোলনে ছাত্রজনতার বিপক্ষে কাজ করলেও, এখন তারা সুবিধামত খোলশ পাল্টাচ্ছে। এদের নামে ধারা ৪২০ অনুযায়ী, প্রতারণার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রদান করার কারনে মামলা, এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের গুপ্তচর হয়ে কাজ করার কারনে ফোজদারি মামলা করা হবে বলে জানা গেছে।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে প্রচণ্ড ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি