Hundreds of fishing trawlers have anchored in safe areas of kalapara due to bad wearher.
পটুয়াখালী: কুয়াকাটা সংলগ্ন দক্ষিন বঙ্গোপসাগর লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
গভীর সমুদ্র থেকে অধিকাংশ মাছ ধরা ট্রলার শিববাড়িয়া নদীর দু’পাড়ে মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর আড়ৎ ঘাটে আশ্রয় নিয়েছে। মুলত সোমবার বিকাল থেকেই এসব মাছধরা ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নিতে উপকূলে আসতে শুরু করে।
মৎস্যবন্দর সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ফিরে আসা এসব জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলছিল। কিন্তু নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। তাই জেলেরা ঢেউয়ের তান্ডব টিকতে না পেরে তারা জাল গুছিয়ে আড়ৎ ঘাটে ফিরে আসে। তবে এখনও কিছু কিছু মাছ ধরা ট্রলার সাগরে অবস্থান করছে বলে জেলেদের সূত্রে জানা গেছে।
কুয়াকাটার গঙ্গামতি এলাকার জেলে মো. আলী মাঝি বলেন, সমুদ্রে কেবল ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সাগর ফুঁসে উঠেছে। তাই তারা ১৪ জন জেলেসহ আড়ৎ ঘাটে ফিরে এসেছেন। এছাড়া আগামী মাসে আবার ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ করেছে সরকার। এতে আমরা দু:শ্চিন্তায় পড়েছি।
আলীপুর মৎস্য বন্দরের ব্যবসায়ী রাজা মোল্লা বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় সোমবার বিকাল থেকে এসব মাছ ধরা ট্রলারগুলো আড়ৎ ঘাটে আসতে শুরু করে। শিববাড়িয়া নদীর দু’পাড়ে এখন সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার নোঙ্গর করা অবস্থায় রয়েছে।
মহিপুর মৎস্যবন্দরের মৎস্য আড়ৎ সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দীন আহমেদ মাসুম বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে উপকুলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে বলে সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে তিনি জানান।
এদিকে পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সাথে সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। - গোফরান পলাশ