News update
  • Remittance surges to $2.68 billion in 29 days of November     |     
  • Probe body says Hasina had 'green signal' for BDR Carnage     |     
  • BDR mutiny was conspiracy to destabilise BD: Inquiry chief     |     
  • Teesta Bundh ‘renovation’ in Rangpur turns into a 'sand bonanza'     |     
  • সমুদ্র থেকে লাইটার জাহাজে লাফিয়ে উঠলো ৩ মণ ইলিশ     |     

কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী

Family 2023-01-20, 9:30pm

kalapara-upazila-a679247e9fb0aee63da0fdd41381e88d1674228643.png

Kalapara Upazila



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী। পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের উপজেলা সড়ক এলাকায় সম্প্রতি এঘটনা ঘটে। তবে ভিকটিম স্ত্রীর অভিযুক্ত স্বামী আমিরুল'র মা কানন বেগম বলেন তার ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য। আর পুলিশ বলছে অভিযোগটির

বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এর আগে ২০১৪ সালে পারিবারিক সম্মতিতে প্রথম স্ত্রী গ্রহন করেন পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের উপজেলা সড়ক সংলগ্ন এলাকার মৃত সালাম মাষ্টারের কনিষ্ঠ পুত্র আমিরুল। কিন্তু বিয়ের ২ মাস না যেতেই শাশুড়ি, ভাসুর এবং স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে সংসার জীবনের ইতি টানে সে। কিছুদিন না যেতেই ফের আমিরুল বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এবার প্রথম বিয়ে গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সপ্তাহ না যেতেই ফের দ্বিতীয় স্ত্রীকেও নির্যাতন শুরু করে ওই পরিবারের সদস্যরা। ঠিকমত ভরন পোষন না দেয়াসহ শীতবস্ত্র প্রদানেও ছিল স্বামীর অনীহা। এমনকি স্বামী, স্ত্রীকে কক্ষের দরজা খুলে ঘুমানোর নির্দেশ দিতেন শাশুড়ি মা। আর মায়ের বাধ্য ছেলে তা অমান্য করতেন না কখনোই।

এভাবেই মুখ বুঝে এক বছর কাটালেও শেষে ধকল কাটিয়ে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে সংসার ছাড়ে সেই স্ত্রীও। পরে আবারও রোমন্টিক বয় আমিরুলের জন্য বধূ খুঁজতে শুরু করে পরিবার। এবারও দ্বিতীয় বিয়ে গোপন রেখে শুরু হয় তৃতীয় পরিকল্পনা।

এবং তৃতীয় বিয়েতেও সফলহেন তিনি। ঠিক এখানেও বিয়ের ২০ দিন না যেতেই শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যায় সে । তবে বিয়ের ধারাবাহিকতা বন্ধ করেনি আমিরুলের পরিবার।

সবশেষে টার্গেট করে দশম শেনীতে পড়ুয়া ভিকটিমকে। চতুর্থ বারের মত এই কিশোরির পরিবারকে মিষ্টি কথার জালে ফাঁসিয়ে তিন বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করে আমিরুল। কিন্তু এবারও স্ত্রীকে ঘরে তুলে ফের শুরু হয় নির্যাতন।

দরিদ্র ঘরের মেধাবী কিশোরী মুখ বুঝে সইতে থাকে সব নির্যাতন। এরই মাঝে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। আর এতেই বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। সর্বশেষ শর্ত জুড়ে দেয়া হয় তাকে। পুত্র সন্তান না হলে ঘর ছাড়াতে হবে তাকেও।

একপর্যায় কণ্যা সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী স্ত্রী। এর পরই বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। ভরন পোষন বন্ধ রেখে শুরু হয়  নির্যাতন।

ভিকটিম স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী বাড়ির লোকজন কোন ভাবেই মানতে পারছিলেন তার কণ্যা সন্তানকে। এর জের ধরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর তাকে নির্যাতন করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে স্বামী ও তার পরিবার। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ্য হয়ে উঠলে তাকে ভুয়া ডিভোর্স লেটার পাঠায় আমিরুল। পরে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করে তার বাবা।

অবিযুক্ত স্বামী আমিরুলের মা কানন বেগম জানান, আমার ছেলেটা মানসিকভাবে অসুস্থ্য। আর আমি কোন পুত্র বধূকে নির্যাতন করিনি।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। - গোফরান পলাশ