Khalishpur, Khulna where a large jute mill is located. Creative Commons.
শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ পাটকল চালুর সিদ্ধান্ত বাতিলের পক্ষে সংসদীয় কমিটির মতামতকে শ্রমিকদের সাথে নির্লজ্জ প্রতারণা হিসাবে অভিহিত করেছেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, শ্রমজীবী আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শামীম ইমাম, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক আবু হাসান টিপু, শ্রমজীবী সংঘের আহ্বায়ক আব্দুল আলী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ)-এর সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, বিনা ভোটে নির্বাচন করে, ভোটের পূর্বরাতে ভোট—ডাকাতির করার মাধ্যমে যেমন গোটা জাতির সাথে সরকার একবার প্রতারণা করেছিল তেমনি সকল পাটকল শ্রমিকদের সাথে পাটকল নিয়ে নতুনভাবে প্রতারণা করছে। বেসরকারিকরণের ষড়যন্ত্র থেকে সরকার বলেছিল লোকসানের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পিপিপির মাধ্যমে চালাবে। এখন আবার বলছে পাটের দেশে তারা কোনোভাবেই আর পাটকল চালাবে না। এটা শ্রমিকের সাথে সংসদীয় কমিটির নির্লজ্জ প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। সরকার কথা দিয়েছিল পাটকল চালাবে, এখন সংসদীয় কমিটি বলছে চালাবে না। আমরা সরকারের এই দ্বিচারিতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকায়ন করে চালুর দাবি জানান। বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডেরাশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।