ইউক্রেন থেকে আমদানি বিঘ্নিত হওয়া এবং তাপদাহের কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাকিস্তানে গমের মূল্য বেড়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পাকিস্তানে ইউক্রেন থেকে গম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বিদেশ থেকে পাকিস্তানে আমদানি হয়ে আসা গমের মোট পরিমাণের ৮০% ইউক্রেন থেকে আসে।
পাকিস্তান এখনও চলতি বছরের প্রয়োজনীয় পরিমাণ গম নিশ্চিত করতে পারেনি, কেননা অভ্যন্তরীণ উৎপাদকরা মার্চ মাসে শুরু হওয়া উচ্চ তাপমাত্রার কারণে খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের দক্ষিণের সিন্ধু প্রদেশে মে মাসে দিনেরবেলা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। সেই মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল এক বছর আগের তুলনায় ১০ শতাংশেরও কম যা কৃষকদের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
সিন্ধু প্রদেশে একটি খামার পরিচালনা করা কাদির সামুন খরার কারণে দেখা দেয়া ক্ষয়ক্ষতি কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আগেই গম কাটা শুরু করেন। তবে এবারের গমের শস্যের দানা ছোট এবং ফসল গতবছরের তুলনায় কেবল এক-চতুর্থাংশ ছিল।
সামুন বলেন, তিনি কখনও এধরনের খরার ক্ষয়ক্ষতি দেখেননি। তিনি উদ্বেগ ব্যক্ত করে বলেন, কেবল কৃষি পণ্য নয়, বরং লোকজনের জীবিকার উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সামুনের বাস করা পৌরসভাটির কর্মকর্তারা বলছেন, গতবছর স্থানীয়ভাবে প্রায় ৫ হাজার টন গম উৎপাদিত হয়, তবে চলতি বছরের শস্যের পরিমাণ কেবল গতবছরের অর্ধেক।
গমের সরবরাহে ঘাটতি পাকিস্তানের প্রধান খাদ্য, নানরুটির মূল্যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সিন্ধুর একটি স্থানীয় বাজারের এক দোকান মার্চ মাসে, তন্দুরে বানানো রুটির মূল্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে নানরুটির মূল্য ২৫% বেড়েছে, যা নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলোর উপর বেশ ভারি এক বোঝা হিসেবে চেপে বসেছে। তথ্য সূত্র এনএইচকে ওয়াল্ড বাংলা।